রাশিয়ার থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা চাপিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘শাস্তি’ হিসাবে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা (ভারতীয় সময়) থেকে ভারতীয় পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হয়েছে। তার আগেই অবশ্য ধস নেমেছে শেয়ার বাজারে। মঙ্গলবার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই ভারতের একাধিক সংস্থার শেয়ারের দাম নিম্নমুখী হতে দেখা গিয়েছে। দিনের শেষে শেয়ারের দাম সামান্য বাড়লেও পরিস্থিতির বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের পর শেয়ার বাজারের এ হেন পতনকে গত তিন মাসের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ সময় বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। মঙ্গলবার বিএসই সেনসেক্স খুলেছিল ৮১,৩৭৭.৩৯ পয়েন্টে। কিন্তু দুপুর গড়াতেই তা হুড়মুড়িয়ে নামতে শুরু করে। এক সময় ৮০,৬৮৫.৯৮ পয়েন্টেও নেমে যায়। দিনশেষে সেনসেক্স সামান্য উর্ধমুখী হলেও খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। বাজার বন্ধ হয়েছে ৮০,৭৮৬.৫৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ, মঙ্গলবার সেনসেক্সের পতন হয়েছে ৮৪৯.৩৭ পয়েন্ট, যা ১.০৪ শতাংশ। একই অবস্থা এনএসই নিফ্টিরও। মঙ্গলবার নিফ্টি ২৫৫.৭০ পয়েন্ট নেমে ২৪,৭১২.০৫ পয়েন্টে গিয়ে ঠেকে। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় নিফ্টি নেমে দাঁড়ায় ২৪,৭১৩.০৫ পয়েন্টে। বুধবার গণেশ চতুর্থীর জন্য ভারতে শেয়ার বাজার বন্ধ। ভারতের উপরে মোট ৫০ শতাংশ শুল্কের প্রভাব কী হয়, বৃহস্পতিবার শেয়ার বাজার খুললে তার খানিক আন্দাজ পাওয়া যাবে। আপাতত সে দিকেই চোখ রয়েছে লগ্নিকারীদের। অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করে, নজর রয়েছে সে দিকেও।
আরও পড়ুন:
মঙ্গলবার এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক এবং আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারের দাম প্রায় ১ শতাংশ কমেছে। প্রায় ২ শতাংশ কমে গিয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ-এর শেয়ারের দামও। অনেকেই শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা ঘরে তুলতে চাইছেন। ফলে শুল্কের খাঁড়ার ঘায়ে বাজার থেকে মুছে গিয়েছে লগ্নিকারীদের মোট ৫.৪১ লক্ষ কোটি টাকা।