ছবি পিটিআই।
দীর্ঘদিন ধরে অতিমারিতে কাবু আমজনতার দুর্ভোগ বাড়িয়েছে তেল-গ্যাসের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় জ্বালানির খরচ বৃদ্ধি। যা ঠেলে তুলেছে সমস্ত জিনিসের দামকে। অথচ মঙ্গলবার সংসদে কেন্দ্রের দেওয়া তথ্যে পরিষ্কার, এ ভাবে বাড়তে থাকা জীবনযাপনের খরচে সাধারণ রোজগেরে মানুষ যখন দিশাহারা, তখন গত দু’টি অর্থবর্ষে তেলের কর ও শুল্ক থেকে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির ঝুলি ভরেছে কোটি কোটি টাকার বাড়তি আয়ে। মুনাফা বেড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল শোধনাগার এবং বিপণন সংস্থাগুলির। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, বহু মানুষ খরচ সামলাতে সঞ্চয়ে হাত দিতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রবীণ মানুষদের অনেকে কাজ খুঁজছেন। আর তাঁদের অর্থে সরকারের রোজগার ফুলেফেঁপে উঠছে। মাঝে কেন্দ্র কিছুটা উৎপাদন শুল্ক এবং রাজ্যগুলির একাংশ ভ্যাট কমিয়েছে ঠিকই। তবে দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তুলনায় তা নগণ্যই।
তেলের দাম, শুল্ক থেকে আয়, দেশে অশোধিত তেলের উৎপাদন ১৯৯৪ সালের পরে সব থেকে নীচে নেমে যাওয়া— এমনই বেশ কিছু প্রসঙ্গে সংসদে কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন দুই সাংসদ, জহর সরকার এবং রাম নাথ ঠাকুর। রাজ্যসভায় তার লিখিত জবাবে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তেলি যা বলেছেন, তাতেই তেলের হাত ধরে রাজকোষ উপচে পড়ার ছবি উঠে এসেছে।
মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ সালে তেলের শুল্ক থেকে কেন্দ্রের ভাঁড়ারে এসেছিল ৪.৫৫ লক্ষ কোটি টাকা। গত অর্থবর্ষে (২০২১-২২) বেড়ে হয়েছে ৪.৯২ লক্ষ কোটি। রাজ্যগুলির ঝুলিতে ওই দুই অর্থবর্ষে এসেছে যথাক্রমে ২.১৭ লক্ষ কোটি এবং ২.৮২ লক্ষ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy