প্রতীকী ছবি।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন চান, ব্রেক্সিট-পরবর্তী পর্বে ভারতের পাশাপাশি গোটা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজেদের রাজনৈতিক এবং বাণিজ্যিক গুরুত্ব বাড়াতে। পাশাপাশি, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত স্বাস্থ্য এবং বিনিয়োগের প্রশ্নে ব্রিটেনকে আরও বেশি করে পাশে চাইছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ভার্চুয়াল বৈঠকে আজ অগ্রাধিকার পেয়েছে এই বিষয়গুলিই। বৈঠকে বরিস ১০০ কোটি পাউন্ড (প্রায় ১০,২৩৬ কোটি টাকা) মূল্যের ভারত-ব্রিটেন বাণিজ্য চুক্তি ঘোষণা করেছেন।
এ দিনের বৈঠকের পর বরিস জনসনের অফিস থেকে বলা হয়েছে, এই ১০০ কোটি পাউন্ডের চুক্তির কারণে ব্রিটেনে ৬৫০০ নতুন কর্মসংস্থান হবে। দু’দেশের মধ্যে আস্থা বাড়ানোর পদক্ষেপ হিসাবে পারস্পরিক বাজারে পৌঁছনোর বিষয়টি আরও মসৃণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারতীয় বাণিজ্য সংস্থাগুলির জন্য ব্রিটেনের মাছের বাজার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী।
বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হযেছে, দুই শীর্ষ নেতা আজ অতিমারি পরিস্থিতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করেছেন। ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অক্সিজেন-সহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকরণ পাঠানোর জন্য জনসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মোদী।
কোভিডের কারণে এই বছর পরপর দু’বার ভারত সফর বাতিল করতে হযেছে জনসনকে। আর সে কারণেই শেষ পর্যন্ত ভিডিয়ো মাধ্যমে এই বৈঠকটি হল। দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ আলোচনার পর বিদেশ মন্ত্রকের সংশ্লিষ্ট সচিব সন্দীপ চক্রবর্তী সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, “আজকের আলোচনার সবচেয়ে বড় দিক হল ২০৩০ সালের জন্য পথনির্দেশিকা তৈরি করা। ভারত-ব্রিটেন সম্পর্ককে সামগ্রিক কৌশলগত অংশীদারিতে পৌঁছে দেওয়াটাই উদ্দেশ্য দু’দেশের।” তিনি জানিয়েছেন, বাণিজ্য এবং অর্থনীতি ছাড়াও প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা, পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’দেশের। এ সব বাস্তবায়নের দিকটি প্রতি বছর বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ে খতিয়ে দেখা হবে।
সন্দীপবাবুর বক্তব্য, “এই বৈঠকের আরও একটি বড় সিদ্ধান্ত, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রশ্নে অংশীদারি আরও বাড়ানো। গত আর্থিক বছরে ভারত এবং ব্রিটেনের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ১৫,৪০০ কোটি ডলার। এই পরিমাণ যথেষ্ট নয়। দুই নেতা একটি ভারসাম্যযুক্ত অন্তর্বর্তী বাণিজ্য চুক্তি করা এবং শেষ পর্যন্ত মুক্তবাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২০১৩ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণ করাটাই উদ্দেশ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy