কর্মসূত্রে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন। সাতেপাঁচে থাকতেন না। রাস্তায় পুলিশের সঙ্গে দুষ্কৃতীদের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে বেঘোরে প্রাণ দিতে হল ঝাড়খণ্ডের যুবককে। ২৭ বছর বয়সি বিজয় কুমার মাহাতো ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলার বাসিন্দা ছিলেন। গত ন’মাস ধরে বিদেশে কাজ করছিলেন। তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে পরিবার।
গিরিডির ডুমরি ব্লকের দুধাপানিয়া গ্রামে থাকতেন বিজয়। সৌদি আরবের জেদা শহরে একটি বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করতেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত ১৬ অক্টোবর রাস্তায় বেরিয়ে পুলিশ এবং দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষের মাঝে আটকে পড়েন যুবক। চেষ্টা করেও নিরাপদে সরে যেতে পারেননি। মাদক পাচারকারীদের একটি দলের সঙ্গে পুলিশের গুলির লড়াই চলছিল। আচমকা একটি গুলি এসে লাগে বিজয়ের গায়ে। তিনি গুরুতর জখম হন।
আরও পড়ুন:
বিজয়ের পরিবার সূত্রে খবর, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্ত্রী বাসন্তী দেবীকে হোয়াট্সঅ্যাপে একটি বার্তা (ভয়েস মেসেজ) পাঠিয়েছিলেন তিনি। তাঁর গুলি লেগেছে, জানিয়েছিলেন। পরিবারের বাকি সদস্যদেরও সে কথা জানান বিজয়ের স্ত্রী। কিন্তু তাঁরা মনে করেছিলেন, বিজয় জখম। হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। সেই কারণেই হয়তো ফোনে যোগাযোগ করতে পারছেন না। অনেক পরে পরিবার জানতে পারে, বিজয়ের মৃত্যু হয়েছে। যে সংস্থায় তিনি কাজ করতেন, তারাই পরিবারকে মৃত্যুসংবাদ দেয়।
বিজয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই সক্রিয় হয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। সৌদি আরবের ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাঁর দেহ দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছে ঝাড়খণ্ড শ্রম দফতর। নিহত শ্রমিকের পরিবারের পাশে আছে, জানিয়েছে ঝাড়খণ্ড সরকার। পরিবারের সদস্যেরা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। সেই দাবি অনুযায়ী সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কতটা কী আদায় করা যায়, দেখা হচ্ছে।