চলতি বছরেই হাইস্পিড বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন তৈরির কাজে হাত দিতে চলেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আইসিএফ)।
আর্থিক ছাড়পত্র পাওয়ার পরে সম্প্রতি আইসিএফ-কে দু’টি স্ট্যান্ডার্ড গেজের আট কোচের ট্রেন নির্মাণের কাজে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছে রেল মন্ত্রক। লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরেই ওই নির্দেশের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। স্টেনলেস স্টিলের তৈরি ওই ট্রেন ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৫০ কিলোমিটার গতিতে ছুটতে পারবে। তবে ট্র্যাকে ছোটার সময় তার গতি থাকবে ঘণ্টায় ২২০ কিলোমিটার। রেল মন্ত্রকের খবর, এ পর্যন্ত তৈরি হওয়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার। যদিও, বেশির ভাগ জায়গায় ওই ট্রেন ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতিতে ছোটে। শুধু আগরার কাছে একটি নির্দিষ্ট রুটের বিশেষ অংশে তা ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে।
ভবিষ্যতের যাত্রী সংখ্যার চাপ সামলাতে কম সময়ের ব্যবধানে দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর দিকে রেলকে এগোতেই হবে বলে মনে করছেন রেল দফতরের শীর্ষ কর্তারা। পাশপাশি ভারতের মতো দেশে হাইস্পিড রেলের বিপুল খরচের বোঝাও তাঁদের ভাবাচ্ছে। এই মুহূর্তে মুম্বই-আমদাবাদ রুটে ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি খরচ করে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ হাইস্পিড রেল প্রকল্পের নির্মাণ চলছে।
ভারতে দ্রুত গতির রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবে গাজ়িয়াবাদ এবং মিরাটের মধ্যে প্রতি কিলোমিটারে ‘র্যাপিড রেল ট্রানজ়িট সিস্টেম’ (আরআরটিএস) তৈরি করতে প্রতি কিলোমিটারে ৪০০ কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে। ওই ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন ছুটবে।
দেশে একাধিক লেনের জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের খরচ প্রতি কিলোমিটারের ১০০ কোটি টাকা। দ্রুত গতির ট্রেন চালানোর পরিকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রেও রেল কিলোমিটার পিছু খরচের সীমা ১০০ কোটি বা তার কমে রাখতে চাইছে। তাই ব্রড গেজে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের তুলনায় হালকা স্ট্যান্ডার্ড গেজ কোচ এবং রেক তৈরির দিকে এগোচ্ছে রেল। ওই প্রযুক্তি বিশ্ব জুড়ে স্বীকৃত। ফলে, ট্রেন এবং পরিকাঠামো নির্মাণের নানাবিধ উপকরণ জোগাড় অনেক সহজ হবে বলে মনে করছেন রেল কর্তারা। তাতে খরচ কমতে পারে।
ভবিষ্যতে দিল্লি-অমৃতসর, মুম্বই-হায়দরাবাদ, চেন্নাই-মহীশূর, বারাণসী-কলকাতা (হাওড়া) রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালানোর বিষয়টি রেল দফতরের বিবেচনায় রয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)