দেবাংশ জৈন।
মিটিংয়ে লোক নিয়ে যেতে হবে। সে কারণে তুলে নেওয়া হয়েছে সমস্ত স্কুলবাস। তাই দু’দিনের জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে স্কুল। ঘটনায় পড়ুয়ারা এতটাই বিরক্ত যে, খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে কড়া সুরে নালিশ করেছে এক ছাত্র। ঘটনাচক্রে যে সভার জন্য স্কুল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছেন কর্তৃপক্ষ, সেই জনসভাটি নরেন্দ্র মোদীরই।
দেবাংশ জৈন নামে অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র মোদীকে লেখা চিঠিতে সরাসরি প্রশ্ন করেছে, তাঁর জনসভা কি স্কুলের থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ? যে ভাবে স্কুলের বাস তুলে নিয়ে জনসভায় লোক আনার কাজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে, তাতে রীতিমতো বিরক্ত দেবাংশ। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নিজের অসন্তোষ স্পষ্ট ভাবে তুলেও ধরেছে ওই কিশোর।
মঙ্গলবারই মহারাষ্ট্রের আলিরাজপুরের ভাবরায় বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদের জন্মস্থানে জনসভা করবেন মোদী। উপলক্ষ ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ৭৪ বছর পূর্তি। সেই সভায় লোক নিয়ে যেতে জেলার সমস্ত বাসই তুলে নেওয়া হয়। রেয়াত মেলেনি স্কুলবাসেরও। দেবাংশদের স্কুলের সব বাস তুলে নেওয়ায়, কর্তৃপক্ষ মঙ্গল এবং বুধ— দু’দিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এতে যে তাদের পড়াশোনার অনেকটাই ক্ষতি হবে, সে কথা প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছে দেবাংশ। সেই চিঠি আপাতত সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে দেবাংশ লিখেছে, আমেরিকায় মোদী যে সভা করেছিলেন তা সে টিভিতে দেখেছে। প্রচুর লোক হয়েছিল। এর পর সে প্রশ্ন করেছে মোদীকে, ‘অত্ত লোক নিশ্চয়ই স্কুলবাসে করে আসেনি?’
নিয়মিত রেডিওতে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান শোনা দেবাংশ এভাবে বাস না তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছে। সে যাতে স্কুলে যেতে পারে ঠিক মতো তা নিয়েও দরবার করেছে ওই কিশোর। এর পরেই সে লিখেছে, ‘আপনি যদি আমার এই আবেদন মেনে নেন, তা হলে আমি সকলের কাছে গর্ব করে বলতে পারব, মোদী আঙ্কলের মিটিং-আসতে কাউকে স্কুলের বাস ব্যবহার করতে হয় না। প্রত্যেকে নিজেরে নিজের মতো করে আসে।’
এই চিঠির কথা প্রকাশ্যে আসতেই টনক নড়েছে জেলা প্রশাসনের। তারা চিঠি দিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে, স্কুলবাসের প্রয়োজন নেই, বরং খোলাই থাক স্কুল। ‘মোদী আঙ্কল’কে চিঠি লিখে কাজ হওয়ায় বেশ খুশি ছোট্ট দেবাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy