এই সপ্তাহের গোড়ায় জম্মু-কাশ্মীরের বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের পথে প্রবল বৃষ্টির জেরে ধস নেমে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বার কেন্দ্র শাসিত রাজভবনের প্রতিনিধি এবং নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা সরকারের মধ্যে বিরোধ প্রকাশ্যে এল। ওই দুর্ঘটনার দায় সম্পূর্ণ ভাবে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিন্হার উপরেই চাপালেন জম্মু-কাশ্মীরের উপমুখ্যমন্ত্রী সুরেন্দ্র সিংহ।
মঙ্গলবার রিয়াসি জেলার ত্রিকূট পাহাড়ের চূড়ায় বৈষ্ণো দেবীর মন্দিরে যাওয়ার একটি রাস্তায় ধস নামে। অর্ধকুমারীর কাছে ওই ধসে তলিয়ে যায় ৩৪ জন। জখম বহু। উপমুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, দুর্ঘটনার অনেক আগেই রিয়াসি-সহ পাঁচ জেলায় লাল সতর্কতা এবং মেঘভাঙা বৃষ্টির আগামবার্তা জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। অথচ জরুরি সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও তীর্থযাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ দেননি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি মাতা মচৈল যাত্রার ক্ষেত্রেও একই রকম বিপদ মাথায় করে তীর্থযাত্রা চালু রাখা হয়েছিল। এই দায় লেফটেন্যান্ট জেনারেলকেই নিতে হবে বলে দাবি তোলেন তিনি।
জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর তথা মন্দির কমিটির চেয়ারম্যান মনোজ সিন্হার দাবি, মঙ্গলবার, দুর্ঘটনার দিন দুপুরেই তীর্থযাত্রা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। সে দিন সকালেও আবহাওয়া অনুকূল ছিল। পরে হাওয়া অফিস ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করলেই যাত্রা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তার কিছু ক্ষণের মধ্যে অর্থকুমারীর কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। তবে যাঁরা ইতিমধ্যে যাত্রা শুরু করে দিয়েছিলেন বা মাঝপথে ছিলেন, তাঁদের নিরাপত্তায় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল কিনা সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সিন্হা।
এই দুর্ঘটনায় কেন্দ্রের তরফে উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের দাবি করেছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘‘মানুষগুলো এমনি এমনি মারা যাননি। প্রশাসনের ব্যর্থতায় তাঁরা খুন হয়েছেন।’’ সিন্হাও ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের ওই কমিটির মাথায় থাকবেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব। দু’সপ্তাহের মধ্যে মন্দির কমিটির চেয়ারম্যানের কাছে সেই রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)