আহত ছাত্রের চিকিৎসায় যাবতীয় আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্ত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। প্রতীকী ছবি।
বার্ষিক ক্রীড়া চলাকালীন জ্যাভেলিন ছোড়ার অনুশীলনের সময় সেটি এসে গেঁথে গেল এক স্কুলছাত্রের ঘাড়ে-মাথায়। গুরুতর জখম হলেও আশ্চর্যজনক ভাবে প্রাণে বাঁচে নবম শ্রেণির ওই ছাত্রটি। শনিবার ওড়িশার একটি সরকারি স্কুলে এই দুর্ঘটনার পর জ্যাভেলিনবিদ্ধ অবস্থায় ছাত্রটিকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আপাতত বিপদ কেটে গিয়েছে।
এই ঘটনায় আহত ছাত্রের চিকিৎসায় যাবতীয় আর্থিক সাহায্যের বন্দোবস্ত করার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। জেলা প্রশাসনের তরফে ওই ছাত্রের পরিবারকে ৩০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর।ওড়িশার বলানগীর জেলায় শনিবার অঙ্গালপুর বয়েজ পঞ্চায়েত হাইস্কুলে বার্ষিক ক্রীড়া চলছিল। সে সময় জ্যাভেলিন ছোড়ার অনুশীলন করছিল ছাত্রেরা। অনুশীলনের সময়ই আচমকাই সদানন্দ মেহের নামে এক ছাত্রের ঘাড়ে এসে গেঁথে যায় একটি জ্যাভেলিন। অন্য এক ছাত্রের ছোড়া ওই জ্যাভেলিনটি সদানন্দের ঘাড়ের ডান দিকে লেগে খুলি ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সদানন্দ। জ্যাভেলিনবিদ্ধ অবস্থায়ই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলার একটি হাসপাতালে। সেখানকার চিকিৎসকেরা সদানন্দের ঘাড়-মাথা থেকে জ্যাভেলিনটি বার করে দেন।
সদানন্দের বিপদ কেটে গেলেও আইসিইউ-তে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে। তার কাকা অচ্যুতানন্দ মেহের বলেন, ‘‘স্কুল থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ছুটে যাই।’’ বড়সড় দুর্ঘটনার পর ভাইপো প্রাণে বেঁচে ফেরায় স্বাভাবিক ভাবে স্বস্তিতে তিনি এবং ওই ছাত্রের পরিবার। যদিও এই দুর্ঘটনার পর বার্ষিক ক্রীড়া বন্ধ করে দেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
বলানগীরের জেলাশাসক চঞ্চল রানা বলেন, ‘‘স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়ার চলাকালীন এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে। তবে ছেলেটির যে বিপদ কেটে গিয়েছে, সে জন্য আমরা সকলেই দুশ্চিন্তামুক্ত।’’ জেলা প্রশাসনের তরফে আর্থিক সাহায্য ছাড়াও ওই ছাত্রের পাশে দাঁড়িয়েছে নবীন পট্টনায়ক সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ছাত্রের সুচিকিৎসার বন্দোবস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন নবীন পট্টনায়ক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy