ছবি: সংগৃহীত।
বেহাল অর্থনীতির জন্য নরেন্দ্র মোদী সরকারের সার্বিক অব্যবস্থাকে দায়ী করে আজই বিবৃতি দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আর এ দিনই কংগ্রেস নেতা জিতিন প্রসাদ উল্টো পথে হেঁটে অর্থনীতির দুর্দশার দায় চাপালেন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার উপর!
এক সময় সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়েছিলেন জিতিনের বাবা জিতেন্দ্র প্রসাদ। এ বারে লোকসভা ভোটের ঠিক আগে জল্পনা চরমে ওঠে, বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন জিতিন। রাহুল গাঁধী তখন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেন। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপ নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছেন জিতিন। এমনকি কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও তা নিয়ে বলেছেন। যদিও ওয়ার্কিং কমিটি মোদীর সমালোচনার পথে হাঁটার অবস্থানই নিয়েছে।
আজ মনমোহন যখন অর্থনীতি নিয়ে মোদীর তুলোধোনা করছেন, জিতিনের বক্তব্য, ‘‘কে কী বলছেন পরের কথা। দেশহিতই সর্বোপরি। আজ অর্থনীতি চৌপাট হচ্ছে, বেরোজগারি বাড়ছে। কেন? কারণ, দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হয়নি। ভারতে বাড়তে থাকা জনসংখ্যার জন্য রোজগার, পরিবেশ, প্রাকৃতিক সম্পদ ধাক্কা খাচ্ছে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘সরকারের কাছে দাবি, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে একটি আইন এনে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনের মান বাড়াতে হবে।’’
শুধু মোদীকে নিশানা করা নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই কংগ্রেসের অন্দরে বিতর্ক চলছে। জয়রাম রমেশ এটি শুরু করেন। একে একে শশী তারুর, অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিরাও তাতে সুর মেলান। তবে এঁরা এখনও কংগ্রেসের মধ্যে সংখ্যালঘু। যে কারণে জিতিনের আজকের মন্তব্যকে কংগ্রেস নেতৃত্ব খুব বেশি আমল দিচ্ছেন না। দলের কিছু নেতা মনে করেন, লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপির দিকে ঝুঁকে থাকা জিতিন কংগ্রেসের সঙ্গে দর কষাকষি করছেন। রাহুলের হস্তক্ষেপে সে যাত্রায় দলে থেকে যান। লোকসভায় উত্তরপ্রদেশ থেকে হেরে যাওয়ার পর রাজ্যসভার আসন চান তিনি। কিন্তু দলের শক্তি এখন তেমন নেই। ফাঁকতালে পাওয়া এক আসন থেকে মনমোহনকে জিতিয়ে আনা হয়েছে। জিতিন মুখ খোলায় দলের মধ্যে অনেকের প্রশ্ন, নবীনদের আর কত দিন অপেক্ষা করতে হবে কংগ্রেসে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy