ছবি রয়টার্স।
সংসদে দাঁড়িয়ে গত কালই দিল্লির সীমানায় আড়াইমাস ধরে ধর্নায় বসে থাকা কৃষকদের ‘আন্দোলনজীবী’ বলে বিদ্রুপ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর তার কয়েক ঘণ্টা পরেই আমেরিকার সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাঁর মোদীর সঙ্গে প্রথম ফোনালাপে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং প্রতিষ্ঠানগুলির গুরুত্বের কথা স্মরণ করিয়ে তাকে আরও জোরদার করার জন্য দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার কথা বললেন।
রাজনৈতিক শিবিরের মতে, এই দুই আপাত বিচ্ছিন্ন বিষয় নেহাতই সংযোগহীন নয়। কৃষি আন্দোলনের উত্তাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। শুধু ব্রিটেন বা কানাডার শিখ সংগঠন অথবা সে সব দেশের গায়ক-গায়িকা, সমাজকর্মীরাই নন, বিষয়টি নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে বাইডেন প্রশাসনের বিদেশ মন্ত্রককেও। এর আগে একটি বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগের আভাসও দিয়েছে তারা।
গত কাল মোদীর সঙ্গে বাইডেনের কথোপকথনে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সহযোগিতার কথা যেমন বলা হয়েছে, তেমনই উঠে এসেছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করার বিষয়টিও। হোয়াইট হাউসের তরফ থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের আলোচনায় কোভিড মোকাবিলায় সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন। পাশাপাশি পরিবেশ সুরক্ষায় অংশিদারিত্ব গড়ে তোলা, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই এবং দু’দেশেরই উপকার হয় এমন ভাবে বিশ্ব অর্থনীতিকে ফের গড়ে তুলতে সাহায্য করা নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের।
এর পরই ওই বিবৃতিতে বলা হচ্ছে, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন গোটা বিশ্বের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং আইনকানুনকে সুরক্ষিত রাখার বিষয়ে তাঁর অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ভারত এবং আমেরিকার সম্পর্কের মূল শক্তি হল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি যৌথ মান্যতা।‘ রাজনৈতিক সূত্রের মতে, বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে ইনিংস শুরু করার প্রথম দিনেই বাইডেনের এই বক্তব্য যথেষ্ট ইঙ্গিতবাহী।
বাইডেনের সঙ্গে কথা নিয়ে নিজেও টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেখানে গণতন্ত্র নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের বক্তব্যটি অনুপস্থিত। বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী। লিখেছেন, ‘ওঁর সাফল্য কামনা করেছি। স্থানীয় দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে কথা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে ঐক্যমত্য হয়েছি আমরা। আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি মেনে কাজ করতে, ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে এবং দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছি আমরা।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy