প্রতীকী ছবি।
ফের আরএসএস কর্মী খুন হলেন কেরলে। এবং এ বারেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে সিপিএমের দিকেই। ঘটনার জেরে আজ, রবিবার কেরল বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে সিপিএম। মাস দু’য়েক আগেই কেরলে খুন হয়েছিলেন এক আরএসএস কর্মী।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাত ন’টা নাগাদ খুন হন রাজেশ নামে ওই ব্যক্তি। শ্রীকারিয়াম এলাকায় ওই আরএসএস কর্মীর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। তাঁর বাঁ হাত কেটে নেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় রাজেশকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ এই খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই আট জনকে গ্রেফতার করেছে। তিরুঅনন্তপুরমের আইজি মনোজ আব্রাহাম জানিয়েছেন, ধৃতরা প্রত্যেকেই সিপিএম কর্মী। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের আসল উদ্দেশ্য জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: আহমেদকে জেতাতে রিসর্টবন্দি বিধায়করা
গত কাল রাতেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি কে রাজেশখারান হাসতাপালে আক্রান্ত আরএসএস কর্মীকে দেখতে যান। পরে তিনি বলেন, ‘‘সিপিএম বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি এবং আরএসএসের কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপি দফতরেও হামলা চালায় তারা। বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর ধারাবাহিক হামলার প্রতিবাদে আমরা রবিবার বন্ধ ডাকতে বাধ্য হচ্ছি।’’
গত শুক্রবার বিজেপি দফতরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম-এর ছাত্র ও যুব শাখার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হন আই পি বিনু নামে স্থানীয় এক কাউন্সিলর সহ চারজন। এর পরই বিনু-সহ দুই কর্মীকে সাসপেন্ড করে সিপিএম। পাল্টা সিপিএম রাজ্য সম্পাদক কোদিয়েরি বালকৃষ্ণণের ছেলে বিনেশ কোদিয়েরির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপি-র বিরুদ্ধে। এই হামলা-পাল্টা হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তিরুঅনন্তপুরমের বিভিন্ন অংশে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে আগামী তিন দিন মিটিং, মিছিল ও বিক্ষোভের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ। সেই ঘটনায় দশ জন সিপিএম কর্মী গ্রেফতারও হন। তার পরই এই খুনের ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy