Advertisement
১০ মে ২০২৪
Mathura

Mathura: নষ্ট করা হতে পারে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’! শাহি ইদগাহ সিল করার আর্জি মথুরা আদালতে

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, অওরঙ্গজেবের নির্দেশে মন্দির ধ্বংস করে কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ এবং‌ মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মিত হয়েছিল।

মথুরার সেই বিতর্কিত অঞ্চল।

মথুরার সেই বিতর্কিত অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
মথুরা শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০২২ ১৫:০৯
Share: Save:

বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের পরে এ বার মথুরার শাহি ইদগাহ মসজিদ সিল করার দাবিতে মামলা দায়ের হল আদালতে। মঙ্গলবার হিন্দুত্ববাদীদের তরফে মথুরা আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে, জ্ঞানবাপী মসজিদের মতো শাহি ইদগাহেও রয়েছে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’। সেগুলির সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির দাবিতে ইতিমধ্যেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে।

সেই মামলার রায় ঘোষণার আগেই ইদগাহ থেকে ‘হিন্দুত্বের প্রমাণ’ নষ্ট করা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে অবিলম্বে পুরো চত্বরটি সিল করার আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে।

আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মহেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘কাশীর তথাকথিত জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং ভিডিয়োগ্রাফির প্রাথমিক রিপোর্ট দেখার পরে সোমবার আদালত ‘মা শৃঙ্গার গৌরীস্থল’ (মসজিদের ওজুখানা এবং তহ্‌খানা এলাকা) সিল করার নির্দেশ দিয়েছে। সেখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গের সন্ধান মিলেছে। আমাদের আশঙ্কা, মথুরার শাহি ইদগাহ থেকে এ বার এমন ঐতিহাসিক প্রমাণগুলি নষ্ট করে ফেলার চেষ্টা হবে।’’

এই পরিস্থিতিতে ইদগাহ চত্বর সিল করার আবেদন জানান তিনি। মথুরা আদালত আবেদন গ্রহণ করে জানিয়েছে আগামী ১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

প্রসঙ্গত, মথুরার প্রাচীর কাটরা স্তূপ (যা কাটরা কেশবদাস নামে পরিচিত) এলাকায় ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ। হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ইদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের গর্ভগৃহে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দিটিও ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট অওরঙ্গজেব। অভিযোগ, সেখানে শাহি ইদগাহ মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mathura Shri Krishna Janmabhoomi Shahi Idgah Masjid
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE