আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। ফাইল ছবি।
রেলে ‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় আরজেডি নেতা তথা বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে নোটিস পাঠিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তলব পেয়েও গত শনিবার দিল্লির সিবিআই সদর দফতরে হাজির হননি তিনি। যুক্তি দিয়েছিলেন গত শুক্রবার আর এক কেন্দ্রীয় সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর টানা ১২ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের ধকলে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ বার সিবিআইয়ের সেই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তেজস্বী। তাঁর অভিযোগ, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই তাঁকে মিথ্যা মামলায় জড়াতে সক্রিয় হয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। পাশাপাশি, তেজস্বীর দাবি, ২০০৭ সালের নভেম্বরে তাঁর ১৮ বছর বয়স হয়েছিল। যে সময়ের দুর্নীতির কথা বলা হচ্ছে, তার অধিকাংশটাই তাঁর ছিল তাঁর নাবালকত্ব পর্যায়ে। দিল্লি হাই কোর্ট তেজস্বীর আবেদন গ্রহণ করেছে। মঙ্গলবার বিচারপতি দীনেশকুমার শর্মার বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হবে।
আরজেডি প্রধান লালুপ্রসাদ প্রথম ইউপিএ সরকারের রেলমন্ত্রী থাকাকালীন (২০০৪-০৯) বিহারের বহু যুবককে জমির বিনিময়ে রেলের ‘গ্রুপ ডি’ পদে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল লালুর স্ত্রী তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং তাঁদের দুই কন্যা মিসা এবং হেমার বিরুদ্ধেও।
গত সপ্তাহে লালু, রাবড়ি এবং কন্যা মিসা ভারতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। তার আগে লালু এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। এ বার দুই কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘নিশানা’ করেছে লালু-রাবড়ির পুত্র তেজস্বীকে। শুক্রবার তাঁর দিল্লির বাড়িতে হানা দেয় ইডি। দীর্ঘ ক্ষণ তেজস্বীর স্ত্রী রাজশ্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল ইতিমধ্যেই এই ঘটনা নিয়ে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’র অভিযোগ তুলেছে।
‘জমির বিনিময়ে চাকরি’ মামলায় লালু, রাবড়ি-সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সমন জারি করেছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। সিবিআইয়ের পেশ করা চার্জশিটের ভিত্তিতে আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে লালুদের জবাব তলব করা হয় ওই সমনে। ঘটনাচক্রে, তার পরেই নতুন করে ‘সক্রিয়তা’ শুরু করেছে সিবিআই এবং ইডি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy