বিভূতিভূষণের জীবন-চিত্র। ঘাটশিলার গৌরীকুঞ্জে। নিজস্ব চিত্র
জন্ম, হাতে খড়ি, তাঁর ঘাটশিলা আগমন, জঙ্গলে জঙ্গলে ঘোরা এবং লেখা—বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনের এমন নানা টুকরো ঘটনা শিল্পীর তুলিতে ফুটে উঠছে ঘাটশিলায়, তাঁর বাড়ি ‘গৌরীকুঞ্জ’-এর সাদা দেওয়ালে। ঝাড়খণ্ডের জনজাতি পট-শিল্প, ‘পটগার’। সাধারণত কাপড়ের ওপরেই আঁকা হয় এই ছবি। ইদানীং শাড়িতেও আঁকা হয় পটের এই ছবি। এ বার গৌরীকুঞ্জের দেওয়ালে। গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতির তত্ত্বাবধানে স্থানীয় পাঁচ শিল্পী সাদা দেওয়ালে ফুটিয়ে তুলছেন বিভূতি-জীবনকথা। ছবির নীচে বাংলা ও হিন্দিতে লেখা অল্প কথা।
সমিতির তরফে তাপস চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবসে এটা বিভূতিভূষণের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধার্ঘ।’’ পূর্ব সিংভূমের জেলাশাসক রবিশঙ্কর শুক্ল এই জীবনকথার উদ্বোধন করবেন উদ্বোধন করবেন। ঘাটশিলায় বেড়াতে গিয়ে বাঙালি পর্যটকদের অবশ্য গন্তব্য বিভূতিভূষণের বাড়ি, গৌরীকুঞ্জ। এখানে রয়েছে তাঁর ব্যবহার করা নানা জিনিসপত্র। এ বার গৌরীকুঞ্জের দেওয়ালে কথা সাহিত্যিকের এই জীবন-চিত্র পর্যটকদের আকর্ষণ আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন অনেকে। বিভূতিভূষণের পুত্রবধূ মিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘খুবই ভাল প্রয়াস।’’ গত এক বছরের একটু বেশি সময় ধরে গৌরীকুঞ্জে চলছে বাংলা শেখার স্কুল ‘অপুর পাঠশালা’। সেখানে বিনামূল্যে বাংলা পড়ানো হয় খুদে পড়ুয়াদের। গৌরীকুঞ্জ উন্নয়ন সমিতির বক্তব্য, গত এক বছরে পড়ুয়ার সংখ্যা একশো ছাড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy