—ফাইল চিত্র।
স্বামী রবার্ট বঢরাকে সঙ্গে নিয়ে আজ ভোট দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠল, ১৯ বছরের রেহান কোথায়? প্রিয়ঙ্কা-পুত্রের তো এ বারই প্রথম ভোট দেওয়ার কথা!
কৌতূহল নিরসন করলেন সনিয়া-কন্যা নিজেই। বললেন, ‘‘পরীক্ষার জন্য রেহান লন্ডন চলে গিয়েছে। ও এ বার ভোট দিতে পারবে না।’’ এ বার লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বেশ কয়েক বার প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গিয়েছে রেহানকে। সঙ্গে ছিল প্রিয়ঙ্কার মেয়ে মিরায়াও। অমেঠীতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে রোড-শো করেছিলেন রাহুল। সেখানেও চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ছিল রেহানের।
গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, প্রিয়ঙ্কা সব সময়ই ছেলেমেয়েদের আগলে রাখেন। সচরাচর রাজনীতির ধারেকাছে তাদের আসতে দেন না। কিন্তু কিছু দিন ধরে রাহুল এবং প্রিয়ঙ্কার পাশে রেহানের উপস্থিতি নজর কেড়েছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে কংগ্রেস সভাপতি যখন তিরুপতি মন্দিরে গিয়েছিলেন, তখন প্রায় সব সময়ই তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাগ্নে রেহান। মামার সঙ্গে তাঁর তিরুপতি যাত্রা নিয়ে সে সময় রাজধানীর রাজনীতিতে কম জল্পনা হয়নি।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কংগ্রেস সূত্রের খবর, প্রিয়ঙ্কা মনে করেন, তাঁর সন্তানেরা গ্রামীন ভারতকেও চিনুক। মাটির কাছে থাকা মানুষজনের জীবনযাপন সম্পর্কেও ধারণা হোক ছেলেমেয়েদের। বছর কয়েক আগে এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে রেহান অমেঠীর গ্রামে গিয়ে কয়েক দিন কাটিয়েছিলেন (তাঁদের সঙ্গে ছিলেন একজন নিরাপত্তা রক্ষী)। ওই গ্রামবাসীর তৈরি রুটি-সব্জি খেয়ে, উঠোনে খাটিয়ায় মশারি টাঙিয়ে রাত কাটিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা-পুত্র। যে গ্রামবাসীর বাড়িতে ছিলেন, তিনিও জানতেন না, রেহান রাহুলের ভাগ্নে। ছেলের ওই গ্রাম-দর্শনের পুরো পরিকল্পনাটাই ছিল প্রিয়ঙ্কার।
গাঁধী পরিবারের ঘনিষ্ঠেরা জানিয়েছেন, ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক আবহে বড় হওয়া রেহানের রাজনীতি সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে। বছর চারেক আগে তিনি আচমকা সংসদে চলে গিয়েছিলেন। গ্যালারিতে বসে সভার কাজকর্মও দেখেছিলেন। স্বভাবতই, এ বার ভোট মরসুমে রাজধানীতে অনেকেরই কৌতূহল ছিল প্রথম বারের ভোটার রেহানকে নিয়ে।
কিন্তু ভোটের চেয়ে পরীক্ষা যে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy