এই চিঠি লিখেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেয় স্কুলপড়ুয়া। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রেললাইনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে এক স্কুলপড়ুয়া। কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়ে ছিল স্কুলব্যাগ। বইপত্তর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে। তার মাঝে একটি চিরকুট উদ্ধার হয়। তাতে ইংরেজিতে লেখা—
“শ্রদ্ধেয় ম্যাডাম,
আমি নবম শ্রেণির ছাত্র। সেকশন সি। আমি যা করেছি তার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। কথা দিচ্ছি, পুনরায় এ রকম ভুল আর করব না।”
চিরকুটটা হাতে পেয়েই স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয়রা। পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে কিশোরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের গোমতীনগরের। বুধবার কিশোরকে রেললাইন থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মাথায় গুরুতর চোট লেগেছে। পা ভেঙে গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিশোরকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
গোমতীনগর থানার ইনস্পেক্টর অনিল কুমার সিংহ জানিয়েছেন, যে রাস্তা ধরে ওই কিশোর প্রতি দিন ঘরে ফিরত, বুধবার সেই রাস্তা না ধরেনি সে। তাঁকে রেললাইনের দিকে কেউ যেতেও দেখেনি। তা হলে ওখানে কী ভাবে পৌঁছল সে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক ছাত্র ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়েছে, এই খবর স্কুলে পৌঁছয়। স্কুলের এক আধিকারিক ঋষি খন্না জানান, খেলাধুলোয় খুব ভাল ওই ছাত্র। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। কিন্তু পড়াশোনায় একটু কমজোরি। ফলে পরীক্ষায় নম্বর কম এসেছিল।
ঋষির দাবি, পড়ুয়াদের পড়াশোনা নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিক্ষকরা। এই পড়ুয়াকেও তাঁর অভিভাবকদের স্কুলে নিয়ে আসার জন্য বলেছিলেন শিক্ষিকা। পুলিশ প্রাথমিক ভাবে মনে করছে, অভিভাবকদের বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিল কিশোর। আর সে কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy