মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে এক ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় মূলচক্রী-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। বিহারের গয়া থেকে পাকড়াও করা হয়েছে তাঁদের। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গয়ায় এক যৌথ অভিযান চালায় মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। ওই অভিযানেই ধরা পড়েন ডাকাতির মূলচক্রী রাজেশ দাস এবং তাঁর সহযোগী ইন্দ্রজিৎ দাস। পুলিশ সূত্রে খবর, ছত্তীসগঢ়ের এক জেলে বসে এই ডাকাতির ছক কষেছিলেন রাজেশ। অতীতে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়াতেও ব্যাঙ্ক ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে ধৃতের বিরুদ্ধে।
গত ১১ অগস্ট জব্বলপুর জেলার একটি ব্যাঙ্কে ডাকাতি হয়। তিন হেলমেটধারী যুবক ব্যাঙ্কের ভিতরে প্রবেশ করেছিলেন। বাইরে বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন আরও দু’জন। ২০ মিনিটের মধ্যে তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ১৫ কেজি সোনা এবং নগদ ৫ লক্ষ টাকা লুট করে চম্পট দেন। সোনা এবং নগদ মিলিয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকার সম্পত্তি খোয়া যায় ব্যাঙ্ক থেকে। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এ বার মূলচক্রী এবং তাঁর এক সাগরেদকেও পাকড়াও করলেন তদন্তকারীরা।
জব্বলপুরের পুলিশ সুপার সম্পত উপাধ্যায় জানান, ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়ের জেলে বন্দি থাকাকালীন এই ডাকাতির ছক কষেছিলেন ধৃত রাজেশ। জেল থেকে জামিনে ছাড়া পাওয়ার ৫৫ দিন পরেই মধ্যপ্রদেশের ওই ব্যাঙ্ক লুট করেন তাঁরা। পুলিশ সুপার আরও জানান, ২০১১-২০২৫ সালের মধ্যে এক ডজনেরও বেশি ব্যাঙ্কে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে রাজেশের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বিহারের জামুই এবং সাসারাম এবং ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যাঙ্ক লুটে তাঁর যোগ মিলেছে।
আরও পড়ুন:
রাজেশ এবং তাঁর সাগরেদকে গ্রেফতারের পাশাপাশি তিন কেজি সোনার গয়নাও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীদের অনুমান, বাকি সোনা ডাকাতদলের অন্য সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। রবিবার গয়া থেকে গ্রেফতার করার পরে ধৃতদের ইতিমধ্যে ট্রানজ়িট রিমান্ডে মধ্যপ্রদেশে নিয়ে গিয়েছে পুলিশ।