সদ্যোজাতকে মৃত বলে ঘোষণা করেছিল হাসপাতাল। পরিবারের হাতে ‘দেহ’ তুলে দেওয়া হয়। গ্রামে ফিরে শিশুটির শেষকৃত্যের আয়োজন করে তার আত্মীয়েরা। কিন্তু শেষকৃত্যের ঠিক আগেই হঠাৎ কেঁদে ওঠে শিশুটি। এই ঘটনায় প্রথমে কেউই বিশ্বাস করতে পারেননি। কিন্তু শিশুটি আবার কেঁদে উঠতেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন তার আত্মীয়েরা। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের।
রাজ্যের বীড জেলার একটি সরকারি হাসপাতালে গত ৭ জুলাই সন্তানের জন্ম দেন এক মহিলা। ওই দিন রাত ৮টা নাগাদ হাসপাতাল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তার পরিবারের হাতে শিশুটির ‘দেহ’ও তুলে দেওয়া হয়। শিশুটিকে নিয়ে গ্রামে ফেরে তার পরিবার।
আরও পড়ুন:
গ্রামেই শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছিল। শিশুটির ঠাকুরমা নাতির মুখ শেষ বারের মতো দেখতে তাকে কোলে তোলেন, তখন হঠাৎই কেঁদে ওঠে সে। আর তার পরই সঙ্গে সঙ্গে শিশুটিকে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছোন তার পরিবার। শিশুটির তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা শুরু হয়। মৃত হিসাবে ঘোষণার ১২ ঘণ্টা পর শিশুটিকে সুস্থ ঘোষণা করে সেই একই হাসপাতাল। শিশুটিকে কেন মৃত ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই প্রশ্ন তুলে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন পরিবারের লোকেরা। যদিও হাসপাতাল সূত্রে দাবি করা হয়, শিশুটির নাড়ি এবং হৃদ্স্পন্দন কোনও কিছুই পাওয়া যাচ্ছিল না। পরীক্ষা করার পরই মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
শিশুটির মা বালিকা ঘুগে বলেন, ‘‘এক নার্স এসে জানালেন আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। শেষকৃত্য করতে যাওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই আমার ছেলে কেঁদে ওঠে। তার পরই হাসপাতালে নিয়ে আসি।’’