—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর হাত কেটে তা শৌচাগারে ফেলে পালানোর অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। হোটেলের ঘর থেকে পরে ওই মহিলাকে অর্ধচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে প্রথমে কোনও মাদক খাইয়েছিলেন অভিযুক্ত। তার পর অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর হাত কব্জি থেকে কেটে নেন।
ঘটনাটি দিল্লির আদর্শ নগর এলাকার। সেখানকার একটি হোটেল থেকে শুক্রবার রাতে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই দিনই দুপুরে দম্পতি হোটেলের ঘর ভাড়া করেছিলেন। পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে, তাঁরা কানপুরের বাসিন্দা। ওই মহিলা সিআরপিএফের কনস্টেবল পদে চাকরিরত। কেন তাঁর স্বামী তাঁর হাত কেটে রেখে পালালেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
শুক্রবার রাত পৌনে ১১টা নাগাদ পুলিশের ফোন পেয়ে হোটেলে গিয়েছিল পুলিশ। হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছেন, ঘরের ভিতর থেকে মহিলার গোঙানির শব্দ পান তাঁরা। এর পরেই দরজা ভেঙে ভিতরে ঢোকা হয়। হোটেলের কর্মীরা দেখেন, চারপাশ রক্তে ভেসে যাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ এসে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর কাটা হাত পাওয়া যায় শৌচাগার থেকে। বিছানার কাছেই পড়েছিল একটি রক্তাক্ত ছুরি।
চিকিৎসকরা মহিলার কাটা হাতটি আবার জুড়ে দিয়েছেন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। হোটেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাদের অনুমান, স্ত্রীর সঙ্গে কোনও কারণে ঝগড়া হয়েছিল অভিযুক্তের। তার পরেই স্ত্রীকে মাদক খাইয়ে তাঁর হাত কেটে দেন তিনি। অভিযুক্তকে খুঁজছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy