কাজ থেকে ফিরছিলেন হরিয়ানার যুবক। পথে তাঁকে আটকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। কুণাল নামে ওই যুবকের দাবি, অভিযুক্তেরা তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সমাজমাধ্যম থেকে তাঁর বিয়ের ছবি সরানোর জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তাঁরা। কুণালের আরও অভিযোগ, আইনি বিচ্ছেদ ছাড়াই তাঁর স্ত্রী দ্বিতীয় বার বিয়ে করেছেন। সে কারণেই আগের বিয়ের ছবি সরাতে চাপ দিচ্ছেন কমল গোস্বামী নামে ওই তরুণীর পরিবারের লোকজন। কুণালের বাবা থানায় অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের খোঁজ করছে পুলিশ। কুণালের অভিযোগ, আইনি বিচ্ছেদ ছাড়াই তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে দিয়েছে পরিবার।
কুণাল বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গুরুতর জখম হয়েছেন তিনি। হাসপাতালেই পুলিশকে বয়ান দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জুন মাসে কোমলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। সেই বিয়েতে মত ছিল না কমলের পরিবারের। বিয়ের কিছু দিন পর থেকেই দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। কয়েক মাস পরেই নিজের বাড়িতে ফিরে যান কমল। স্বামীর বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার মামলা দায়ের করেন। মাসে মাসে খোরপোশ বাবদ ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। কুণাল জানিয়েছেন, তাঁর মাসিক বেতন ১২ হাজার টাকা। খোরপোশের টাকা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।
যুবকের অভিযোগ, উত্তরপ্রদেশের এক পাত্রের সঙ্গে কমলের বিয়ে স্থির করে তাঁর পরিবার। বিয়ের পরে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রথম বিয়ের ছবি নিয়ে আপত্তি তোলেন। তার পরেই কুণালকে কোমলের পরিবার বিয়ের ছবি সরাতে বলে চাপ দিতে শুরু করে বলে অভিযোগ। গত ২৪ সেপ্টেম্বর কাজ থেকে ফেরার পথে কমলের বাবা, কাকার উপস্থিতিতে কয়েক জন কুণালকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।