যৌন হেনস্থার ভুয়ো অভিযোগ এনেছিলেন প্রতিবেশিনী। সেই অপমানে শেষমেশ আত্মহত্যা করলেন প্রৌঢ়। ছ’পাতার সুইসাইড নোটে লিখেও গেলেন সে কথা। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বীরেন্দ্র যাদব। লখনউয়ের বাসিন্দা ওই প্রৌঢ় মানকনগর এলাকায় একটি বেকারির দোকান চালাতেন। গত কয়েক মাস ধরে একটি নির্মাণকাজ নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ চলছিল বীরেন্দ্রের পরিবারের। ক্রমে ছোটখাটো সেই বিরোধ চরমে পৌঁছোয়। অভিযোগ, এক পর্যায়ে বীরেন্দ্রকে শিক্ষা দিতে তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার ভুয়ো অভিযোগ তোলেন প্রতিবেশীর স্ত্রী। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়। দাবি, এর পর থেকেই ভেঙে পড়েন বীরেন্দ্র।
আরও পড়ুন:
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির বাইরে একটি নির্মাণকাজকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী সুরজিৎ যাদব ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে মাস কয়েক আগে বিরোধ শুরু হয় বীরেন্দ্রের। বিষয়টি আদালতেও গড়ায়। তবে আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রতিবেশীরা নির্মাণকাজ বন্ধ করেননি। উল্টে বীরেন্দ্রের বিরুদ্ধেই ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। নিহতের স্ত্রী নীলম জানিয়েছেন, এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন তাঁর স্বামী। নিজের ও পরিবারের সম্মান নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি মেয়ের বিয়ে নিয়েও চিন্তিত হয়ে পড়েন বীরেন্দ্র। তাঁর মনে হয়েছিল, তিনি ভুয়ো মামলায় জেলে গেলে তাঁর মেয়ের বিয়ে দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। শেষমেশ এক দিন বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন ওই প্রৌঢ়। ছয় পৃষ্ঠার সুইসাইড নোটে সে সব কথা লিখেও গিয়েছেন তিনি। এর পরেই সরব হয়েছে নিহতের পরিবার। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে তারা। তাদের দাবি, বাড়ির চারপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা সত্ত্বেও কোনও প্রমাণ ছাড়াই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন বীরেন্দ্রের পরিজনেরা।