—প্রতীকী চিত্র।
ঋণের দায়ে জর্জরিত হয়ে লোক লাগিয়ে নিজেকেই খুন করালেন এক ব্যবসায়ী! তাঁর মৃত্যুর পর জীবন বিমার টাকায় পরিবারের লোকজন যাতে স্বচ্ছল জীবনযাপন করতে পারে, তার জন্যই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন বলে জানা গিয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃত ওই ব্যক্তিকে ৩৮ বছরের বলবীর খারোল বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে। সুদের কারবার করতেন তিনি।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে সুদের ব্যবসায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকা খাটিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও সেই টাকা উদ্ধার করতে পারেননি। বরং দেনার দায়ে নিজের সংসার চালানোই দায় হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় নিজেকে খুন করানোর পরিকল্পনা করেন তিনি। তার আগে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে ৫০ লক্ষ টাকার জীবনবিমা করান, যাতে তিনি মারা গেলেও বিমার টাকায় স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন কাটাতে পারে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: টানাপড়েনের মাঝেই বঙ্গ বিজেপির চার শীর্ষনেতাকে দিল্লিতে তলব অমিত শাহের
তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই রাজবীর সিংহ এবং সুনীল যাদব নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বলবীর খারোল তাদেরকেই নিজের খুনের বরাত দিয়েছিলেন। পুলিশের দাবি, জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে ওই দু’জন।
তারা জানিয়েছে, ২ সেপ্টেম্বর তাদের সঙ্গে দেখা করেন বলবীর খারোল। দু’পক্ষের মধ্যে ৮০ হাজার টাকায় রফা হয়, যার মধ্যে ১০ হাজার টাকা আগাম তাদের হাতে তুলে দেন বলবীর। বাকি টাকা তাঁর পকেটে রয়েছে, কাজ হয়ে গেলে তা বার করে নিতে হবে বলে জানান তিনি। এর পর পরিকল্পনা মতো বলবীর খারোলকে নিয়ে একটি নির্জন জায়গায় পৌঁছে যায় তারা। সেখানে প্রথমে বলবীরের হাত ও পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে তারা। তার পর শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করে।
আরও পড়ুন: জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান-চিনের যৌথ বিবৃতি খারিজ ভারতের
ভিলওয়ারার পুলিশ সুপার হরেন্দ্র মহাওয়ার বলেন, ‘‘সিসিটিভি ফুটেজ এবং বলবীর খারোলের কল রেকর্ড দেখে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আগে কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটেনি এ রাজ্যে।’’ বলবীর খারোলের বাড়িতে তাঁর মা, বাবা, স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy