Advertisement
০১ মে ২০২৪
Manipur Clash

মণিপুরের চার জেলার কিছু অংশে পরীক্ষামূলক ভাবে ইন্টারনেট চালু করল বীরেন সিংহের সরকার

মণিপুরের চার জেলার কিছু অংশে পরীক্ষামূলক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল সরকার। কিছু দিন আগেই মণিপুর হাই কোর্ট রাজ্যের তুলনায় নিরাপদ জেলাগুলিতে ইন্টারনেট ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল।

Manipur internet ban lifted in four Manipur District HQs unaffected by violence

মণিপুরে টহল পুলিশ এবং আধাসেনার। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:০৩
Share: Save:

মণিপুরের চার জেলার জেলাসদর-সহ বিক্ষিপ্ত কিছু অংশে পরীক্ষামূলক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করল বীরেন সিংহের সরকার। মণিপুর সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মণিপুরের গোষ্ঠীহিংসার কবল থেকে মুক্ত জেলাগুলিতে আংশিক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো হচ্ছে।

এই চার জেলা হল উখরুল, সেনাপতি, চান্ডেল এবং তামেংলং। রাজ্যের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত এই জেলাগুলির বেশ কিছু অংশ ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানো হয়েছে গত মঙ্গলবার থেকেই। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তা জানিয়ে দিল মণিপুর সরকার। প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই মণিপুর হাই কোর্ট রাজ্যের তুলনায় নিরাপদ এবং শান্ত জেলাগুলিতে পরীক্ষামূলক ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল সরকার। এই প্রসঙ্গে উখরুল জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, কেবল জেলাসদর এবং বাছাই করা কিছু অংশেই ইন্টারনেট পরিষেবা মিলবে।

গত ৩ মে মণিপুর গোষ্ঠীহিংসা ছড়িয়ে পড়ার পরেই গোটা রাজ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত সেপ্টেম্বর মাসে অল্প কিছু দিনের জন্য এই বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হলেও হিংসাত্মক ঘটনার বাড়বৃদ্ধির জেরে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যটি। এখনও সেখানে হিংসার আগুন পুরোপুরি নেভেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE