Advertisement
E-Paper

মণিপুরে কার্ফু ভেঙে এগোনোর চেষ্টা মেইতেই সংগঠনের, রবার বুলেটে জখম বেশ কয়েক জন

বুধবার কার্ফু অমান্য করে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে করে মেইতেইদের নাগরিক অধিকার সংগঠন কোকোমির সদস্যেরা। মিছিল আটকাতে রবার বুলেট ছোড়েন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:৫১
Manipur protesters defy curfew, several injured in rubber bullet firing

মণিপুরে অশান্তি থামাতে রবার বুলেট ছুড়ছেন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। ছবি: সংগৃহীত।

মেইতেই সংগঠনের মিছিল ঘিরে অশান্তির আশঙ্কায় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই মণিপুরে উপত্যকার পাঁচ জেলায় কার্ফু জারি করা হয়েছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তরফে আগাম সতর্কতা নেওয়া হলেও অশান্তি পুরোপুরি এ়ড়ানো গেল না। বুধবার কার্ফু অমান্য করে, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করে করে মেইতেইদের নাগরিক অধিকার সংগঠন কোকোমির সদস্যেরা। মিছিল আটকাতে এবং জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রবার বুলেট ছোড়েন নিরাপত্তা আধিকারিকেরা। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

কোকোমির তরফে বলা হয়েছে, তারা মিছিল করে কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুর জেলার উদ্দেশে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও মণিপুর সরকারের তরফে আগেই এই সংগঠনকে বলা হয়েছিল, তারা এমন কোনও পদক্ষেপ করলে মণিপুরের সঙ্কট আরও ঘনীভূত হতে পারে। মঙ্গলবার উপত্যকার যে জেলাগুলিতে পূর্ণমাত্রায় কার্ফু জারি করা হয়েছিল, সেগুলি হল বিষ্ণুপুর, কাকচিং, থৌবল, ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম। বিষ্ণুপুর জেলা থেকে মিছিল করে কুকি অধ্যুষিত চূড়াচাঁদপুরে ঢুকতে পারেন মেইতেইরা, এই আশঙ্কায় সেই জেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। স্থানীয়দের একাংশের দাবি, জায়গায় জায়গায় ব্যারিকেড দেওয়ার ফলে তাঁরা কার্যত ঘরবন্দি হয়ে গিয়েছেন। এরই মধ্যে বুধবার সুপ্রিম কোর্ট মণিপুর নিয়ে একটি মামলায় সে রাজ্যের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্র লুট হওয়ার বিষয়ে ‘স্টেটাস রিপোর্ট’ চেয়ে পাঠিয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মে জনজাতি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর কর্মসূচি ঘিরে মণিপুরে অশান্তির সূত্রপাত। মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেই ঘটনা থেকেই সংঘাতের সূচনা হয় সেখানে। মণিপুরের আদি বাসিন্দা হিন্দু ধর্মাবলম্বী মেইতেই জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কুকি, জ়ো-সহ কয়েকটি তফসিলি জনজাতি সম্প্রদায়ের (যাদের অধিকাংশই খ্রিস্টান) সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত প্রায় দু’শো জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘরছাড়ার সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।

Manipur Violence Manipur Curfew
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy