প্রতীকী ছবি।
কোভিড-প্রতিষেধকের দিকে চাতক পাখির মতো তাকিয়ে বহু দেশ। তার অপেক্ষায় দিন গুনছেন এ দেশের বহু মানুষও, টিকা-তালিকার প্রথম তিন কোটিতে যাঁদের নাম ওঠেনি। অথচ যাঁদের ডাক পড়ছে, সেই স্বাস্থ্যকর্মীদের অনেকে টিকা নিতে দ্বিধায় ভুগছেন বলে আক্ষেপ কেন্দ্রের। আর্জি, ‘সুযোগ এলেই দ্বিধা ঝেড়ে টিকা নিন।’ যদিও চিকিৎসক শিবিরের একাংশের দাবি, প্রতিষেধক-গবেষণার তথ্য আরও স্বচ্ছ হলে এবং টিকা বাছাইয়ের স্বাধীনতা প্রাপকের হাতে থাকলে, ছবি অন্য রকম হত।
তবে ‘টিকা-অনীহা’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের দিনেই স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণের দাবি, ‘‘সব দেশেই প্রতিষেধক নিতে প্রাথমিক অনীহা রয়েছে। টিকাকরণের সংখ্যায় অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত এগিয়ে।’’ পিছনে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স।
শুরুতে রোজ প্রায় ৩ লক্ষ টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল কেন্দ্র। পরিকল্পনা, পরে তা বাড়িয়ে ৫ লক্ষ করার। কিন্তু প্রথম চার দিনে দেশে মোট ৬,৩১,৪১৭ জন টিকা নিয়েছেন। আজ ১,৭৭,৩৬৮ জন। আজ সব থেকে বেশি স্বাস্থ্যকর্মী (৮০,৬৮৬ জন) তা নিয়েছেন কর্নাটকে। পশ্চিমবঙ্গে প্রাপকের সংখ্যা ৪২,০৩৯ জন। একে দৈনিক প্রতিষেধক প্রাপকের সংখ্যা দু’লক্ষ না-ছোঁয়ায় অস্বস্তিতে স্বাস্থ্যকর্তারা। তার উপরে গতকাল মাত্র ৮ জন টিকা নিয়েছেন দিল্লির এমসে। এমস বা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালের মতো কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা টিকা নিতে অনীহা দেখানোয় ব্যাকফুটে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। বুধবার তাই সাংবাদিক সম্মেলনে নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) বিনোদ পল বলেন, ‘‘বহু দেশের মানুষ টিকার জন্য হাপিত্যেশ করে বসে। সেখানে প্রতিষেধক নেই। অথচ ভারতে তা থাকা সত্ত্বেও অনেক ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিতে চাইছেন না।’’ এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর টুইট, ‘‘আগামীকাল থেকে প্রতিবেশী দেশগুলিতে প্রতিষেধক পাঠানো শুরু হচ্ছে।’’ বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রথম তা পাবে ভুটান ও মলদ্বীপ। আগামীকাল টিকা পৌঁছে যাবে। বাংলাদেশ-সহ অন্য কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে যাবে বৃহস্পতিবার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy