জম্মু-কাশ্মীরে আবারও জঙ্গিহানার আশঙ্কা! তার জেরে তড়িঘড়ি কাশ্মীরের ৪৮টি পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ করে দিল সে রাজ্যের সরকার। সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঝুঁকি এড়াতে কাশ্মীরের মোট ৮৭টি পর্যটনস্থলের মধ্যে ৪৮টি-ই সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল অনন্তনাগের পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক। সেই জঙ্গিহানার পরেই কাশ্মীর জুড়ে পুরোদমে শুরু হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান। এখনও পর্যন্ত পহেলগাঁওয়ের হামলাকারীদের নাগাল না পাওয়া গেলেও উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে একাধিক জঙ্গির ঘরবাড়ি। তবে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা কমেনি। বরং গোয়েন্দা সূত্রে খবর, এর ‘প্রত্যাঘাত’ হিসাবে আবারও হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা জানাচ্ছে, গত কয়েক দিনে জম্মু ও কাশ্মীরের নানা প্রান্তে জঙ্গিদের একাধিক ‘স্লিপার সেল’ সক্রিয় হয়েছে। শীঘ্রই আবারও কোনও জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে হামলা চালাতে পারে তারা। সেই আশঙ্কাতেই মঙ্গলবার থেকে বন্ধ করে দেওয়া হল ৪৮টি পর্যটনস্থল। এগুলির মধ্যে কোনও কোনও স্থানে পুরোদমে শুরু হয়েছে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। মঙ্গলবার থেকে বন্ধ রয়েছে ইউসমার্গ, তৌসিময়দান, দুধপাথরি, আহরবাল, কাউসারনাগ, বাঙ্গুস, চান্দিগাম, উলার, রামপোরা প্রভৃতি এলাকা। সরকারি এক কর্তা জানিয়েছেন, গুলমার্গ, সোনমার্গ, ডাল লেক-সহ অন্য যে সব পর্যটনকেন্দ্র খোলা রয়েছে, সেগুলিতেও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, পহেলগাঁও হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগর, ডোডা এবং কিশ্তোয়ারের বেশ কিছু জায়গায় অভিযান চালিয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, মাত্র ছ’দিনে উপত্যকার ৬০০টিরও বেশি স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে।