ছত্তীসগঢ়ে আবার মাওবাদী দমন অভিযানে সাফল্য পেল যৌথবাহিনী। বুধবার সুকমা জেলার কুকানার থানা সীমানার পুসগুনা গ্রামের জঙ্গলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের ডিস্ট্রিক্ট রিজ়ার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ও বস্তার ফাইটার্সের যৌথ অভিযানে নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর স্থানীয় দুই নেতা-নেত্রী নিহত হয়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে এক জন মাওবাদী সশস্ত্র বাহিনী পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র পেদারাস স্কোয়াডের কমান্ডার। ‘বামন’ নামে পরিচিত ওই নেতার মাথার দাম ছিল পাঁচ লক্ষ টাকা। নিহত দু’জনের থেকে একটি ইনসাস স্বয়ংক্রিয় রাইফেল, একটি ১২ বোরের বন্দুক এবং বেশ কিছু কার্তুজ ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।
নিহত মহিলা মাওবাদী গেরিলার পরিচয় এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার সুকমাতেই মাওবাদীদের বসানো আইইডি (ইম্প্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোন্টা বিভাগ) আকাশ রাও গিরেপুঞ্জের মৃত্যু হয়েছিল। তার পরেই বস্তার ডিভিশনের অবুঝমাঢ় জঙ্গলের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে যৌথবাহিনী।
চলতি বছরে মাওবাদী পলিটব্যুরো সদস্য রামচন্দ্র রেড্ডি ওরফে চলপতি, সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু ওরফে গগন্না, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নরসিংহচলম ওরফে সুধাকর বস্তারের জঙ্গলে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন। পিএলজিএ-র হাত থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারও করা হয়েছে। কিন্তু এখনও বস্তার ডিভিশনের পাঁচটি জেলায় ১৬ জন নেতা-নেত্রী-সহ পিএলজিএ-র বেশ কয়েক জন সক্রিয় বলে পুলিশের দাবি।