Advertisement
E-Paper

মহারাষ্ট্রে মরাঠাদের জন্য চালু হল সংরক্ষণ, শিক্ষা এবং চাকরিতে থাকবে ১০ শতাংশ আসন

শুক্রবারই এই বিল নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল মহারাষ্ট্র রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন। আড়াই কোটি পরিবারের উপর সমীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৫:০২
image of shinde

একনাথ শিন্ডে। — ফাইল চিত্র।

মঙ্গলবার মরাঠা সংরক্ষণ বিল পাশ হল মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। এখন থেকে শিক্ষা এবং চাকরির ক্ষেত্রে রাজ্যে মরাঠাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। আইন প্রণয়নের ১০ বছর পর আবার তা পর্যালোচনা করা হবে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। মনে করা হচ্ছে, মরাঠা ভোটব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই এই পদক্ষেপ একনাথ শিন্ডের সরকারের।

শুক্রবারই এই বিল নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা করেছিল মহারাষ্ট্র রাজ্য অনগ্রসর শ্রেণি কমিশন। আড়াই কোটি পরিবারের উপর সমীক্ষা করে সেই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। মরাঠাদের মধ্যে যে সব পরিবার সামাজিক বা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়েছে অথবা শিক্ষার দিক থেকেও পিছিয়ে, তাদের কথাও শুনেছে কমিশন। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন, রাজ্যের মোট জনসংখ্যার ২৮ শতাংশ হলেন মরাঠা। তাঁর কথায়, ‘‘দুই থেকে আড়াই কোটি মানুষের উপর সমীক্ষা করা হয়েছে। ২০ ফেব্রুয়ারি আমরা বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছি। তার পরেই মরাঠা সংরক্ষণ আইন চালু হবে।’’

দীর্ঘ দিন ধরে অভিযোগ, মহারাষ্ট্রেই মরাঠারা যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। রাজ্যে মরাঠাদের ২১.২২ শতাংশ পরিবার দারিদ্র্য সীমার নীচে বসবাস করে। তাঁদের হলুদ রেশন কার্ড রয়েছে। রাজ্যে দারিদ্র্যসীমার নীচে বাস করেন ১৭.৪ শতাংশ। তার থেকেও নীচে রয়েছেন মরাঠারা। পাশাপাশি, ৮৪ শতাংশ মরাঠা পরিবার ‘উন্নত’ (প্রোগ্রেসড) শ্রেণির মধ্যে পড়েন না। রিপোর্টে আরও বলা হয়, মহারাষ্ট্রে যত কৃষক আত্মহত্যা করেন, তাঁদের মধ্যে ৯৪ শতাংশই মরাঠা। সেই পিছিয়ে পড়া মানুষজনের জন্যই এ বার সংরক্ষণ চালু শিন্ডে সরকারের, যা আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি-সেনা জোট সরকার। কিন্তু তখন তাতে বাধা দিয়েছিল কোর্ট। তার পরেই বিক্ষোভে সামিল হয় মরাঠারা। রাজনীতিকদের একাংশও পাশে দাঁড়ান। অবশেষে মহারাষ্ট্র বিধানসভায় পাশ হল সেই সংরক্ষণ বিল।

এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং চাকরি ক্ষেত্রে মুসলিমদের জন্য ৫ শতাংশ সংরক্ষণ চেয়েছে সমাজবাদী পার্টি (এসপি)। বিধানসভার বাইরেও এই দাবি জানিয়েছেন এসপি বিধায়ক আবু আজমি। তাঁর হাতে এই দাবি লেখা ব্যানার ছিল। আর এক এসপি বিধায়ক রইস শেখ দাবি করেন, রাজ্যে মুসলিমদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।

Maharashtra Eknath Shinde
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy