সস্ত্রীক মিখাইল। —নিজস্ব চিত্র।
বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, মাদকাসক্তির অভিযোগ, মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ওরফে পরি বরার সাঁড়াশি চাপ, দিদি শিনা বরার হত্যা, সিবিআইয়ের জেরা, সংবাদমাধ্যমের কাছে জবাবদিহি, বাংলা বিগ বসের ঘর এবং শেষ পর্যন্ত প্রেম। মায়ের কালো ছায়া থেকে বেরিয়ে নিজের জীবন গুছিয়ে নিতে চেয়েছিলেন ইন্দ্রাণীপুত্র মিখাইল বরা। ব্যায়াম করে ঝরিয়ে ফেলেছেন মেদ। শুরু করেছেন চাকরি। শেষ পর্যন্ত গত রাতে একেবারে ঘরোয়া অনুষ্ঠানে প্রেমিকা মৌসুমীর সঙ্গে বিয়ে সেরে ফেললেন মিখাইল। প্রীতিভোজ ৩০ নভেম্বর।
প্রেমিকা ও সদ্য হওয়া স্ত্রী তাঁর জীবনে অনেক বদল এনেছে বলে জানিয়েছেন মিখাইল। ছোটবেলায় বাবা-মা ছেড়ে যাওয়ার পর থেকে দাদু-দিদিমাই ছিলেন মিখাইলের জগত। ২০১৫ সালে শিনা বরা হত্যাকাণ্ডে ইন্দ্রাণী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে লজ্জা-অপমানে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েন তাঁরা। দাদু-দিদিমার মৃত্যুর পরে, একাকী জীবনে মিখাইলের সঙ্গী ছিল দুই ল্যাব্রাডর।
দত্তক পিতা-মাতা তথা নিজের দাদু-দিদিমার শ্রাদ্ধে যেমন নিজের মায়ের উপস্থিতিতে বাধ সেধে সিবিআইয়ের কাছে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন মিখাইল, বিয়েতেও তেমনই ব্রাত্য রাখলেন মাকে। জানালেন, বিয়েতে রক্তের সম্পর্কের কাউকে পাশে না-পাওয়া যে কত যন্ত্রণার— তা কেউ বুঝবে না। সিবিআইকে মিখাইল জানিয়েছেন, তিনি নিজের মতো জীবন কাটাতে চান।
আরও পড়ুন: ‘ভোট এক্সপ্রেসে’ রাজা উজির, রোষে মামা
আরও পড়ুন: আঠারোর ‘আস্পর্ধা’! ট্রাম্পকে শিক্ষা দিলেন অসমের তরুণী
কিন্তু মা ইন্দ্রাণী আগেও যেমন তাঁকে হত্যার চেষ্টা করেছেন, এখনও জেলের মধ্যে বসে ছেলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তাই নিজেকে ও নিজের নতুন জীবনকে এ সব থেকে দূরে রাখতে চান। দিদি শিনার হত্যার মামলায় অবশ্য সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানালেন মিখাইল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy