ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) জন্য ৭৯ হাজার কোটি টাকার অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের নেতৃত্বাধীন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ক্রয় সংক্রান্ত কমিটি (ডিএসি) বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। সেখানে ‘আত্মনির্ভরতা’র পাশাপাশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে আমদানিতেও।
দেশীয় প্রযুক্তিতে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র নাগ এমকে-২ বহনের জন্য ‘ট্র্যাক্ড’ যান কেনার বিষয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ‘আর্মার্ড ভেহিকল্স নিগম লিমিটেড’ (এভিএনএল)-এর উপর ভরসা রাখছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাদের তৈরি ‘নামিস’ কেনা হবে জরুরি ভিত্তিতে। এর পাশাপাশি স্থলসেনার জন্য দুর্গম এলাকায় যাতায়াতের উপযোগী উচ্চ গতিসম্পন্ন কয়েক হাজার ছোট গাড়ি, শত্রুর উপর কৌশলগত নজরদারির উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত ‘গ্রাউন্ড বেস্ড মোবাইল এলিয়েন্ট সিস্টেম’ (জিবিএমইএস) রয়েছে প্রস্তাবিত ক্রয়সামগ্রীর তালিকায়।
আগামী কয়েক বছরে ভারতীয় নৌসেনা ও উপকূলরক্ষী বাহিনীর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ‘ল্যান্ডিং প্ল্যাটফর্ম ডক’ (এলপিডি), ৩০ এমএম নেভাল সারফেস গান (স্বয়ংক্রিয় ছোট কামান), উন্নত হালকা টর্পেডো, ‘ইলেক্ট্রো-অপটিক্যাল ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাক সিস্টেম’ এবং ৭৬ এমএম ‘সুপার র্যাপিড গান’-এর জন্য উচ্চ বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন ‘স্মার্ট গোলা’ কিনবে। প্রসঙ্গত, স্থল ও বায়ুসেনার কমান্ডোদের সঙ্গে গভীর সমুদ্রে যৌথ মহড়া কিংবা প্রকৃত যুদ্ধপরিস্থিতিতে এলপিডি খুবই কার্যকর ভূমিকা নেবে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি। অন্য দিকে, ডিএসি বৈঠকে পাশ হওয়া প্রস্তাবে বায়ুসেনার জন্য ‘কোলাবোরেটিভ লং রেঞ্জ টার্গেট স্যাচুরেশন/ডেস্ট্রাকশন সিস্টেম’ (সিএলআরটিএস/ডিএস) কেনার কথা বলা হয়েছে। ১০০০ কিলোমিটার পাল্লার এই সোয়ার্ম ড্রোন এই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে স্বয়ংক্রিয় বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার সাহায্যে নিশানা চিহ্নিত করে হামলা চালাতে পারে।