প্রতীকী ছবি।
পানশালা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কিশোরীকে একটি মার্সিডিজের মধ্যে গণধর্ষণ করল পাঁচ নাবালক। শনিবার রাতে হায়দরাবাদে এক বিধায়কপুত্র-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন কয়েক পর বুধবার তা প্রকাশ্যে আসে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না গেলেও তাদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শনিবার রাতে জুবিলি হিলস এলাকায় একটি মার্সিজিডের মধ্যে পাঁচ নাবালক মিলে ১৭ বছরের নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। শহরের অভিজাত এলাকা বলে পরিচিত জুবিলি হিলসের একটি পানশালায় শনিবার সন্ধ্যায় বন্ধুর সঙ্গে পার্টিতে গিয়েছিল ওই নাবালিকা।
পুলিশের কাছে ওই নাবালিকার দাবি, পার্টিতে একটি ছেলের সঙ্গে আলাপ হয় তার। ছেলেটির সঙ্গে কয়েক জন বন্ধুও ছিল। বন্ধুকে ছেড়ে ওই ছেলেদের সঙ্গেই পানশালা থেকে বেরোয় সে। মেয়েটির দাবি, ওই ছেলেরা তাকে বাড়ি ছেড়ে দেবে বলে কথা দিয়েছিল। ঘটনার আগে তাদের সঙ্গে একটি পেস্ট্রি শপেও যায় সে। অভিযোগ, সেখান থেকে মার্সিডিজে চড়ে যাওয়ার সময় জুবিলি হিলস এলাকায় গাড়িটি দাঁড় করিয়ে দেয় তারা। সেখানেই গাড়ির মধ্যে একে একে গণধর্ষণ করে তাকে।
পরিবারের দাবি, ঘটনার পর বাড়ি ফিরে এলে মেয়ের ঘাড়ে ক্ষতচিহ্ন দেখেছিলেন তার বাবা। সে সময় মেয়েটি বলে যে পার্টিতে কয়েকটি ছেলে তাকে আক্রমণ করায় এমন ক্ষত তৈরি হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ঘটনার অভিযোগ জানাতে পুলিশে যায় পরিবার। সেখানে প্রথমে শ্লীলতাহানির রিপোর্ট দায়ের করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ওই ঘটনার বয়ান দেওয়ার সময় মেয়েটি গণধর্ষণের অভিযোগ করে পুলিশের দাবি। সংবাদমাধ্যমের কাছে জোয়েল ডেভিস নামে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মেয়েটির সঙ্গে কী হয়েছে, তা নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না নাবালিকার বাবা। মেয়েটিও কিছু বলার অবস্থায় ছিল না।’’ নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এই ঘটনায় সংখ্যালঘু বোর্ডের চেয়ারম্যান তথা বিধায়কপুত্রের নাম জড়িয়েছে। পাশাপাশি, পাঁচ জনের প্রত্যেকেই স্কুলপডুয়া বলে সূত্রের খবর। যদিও পুলিশের দাবি, গণধর্ষণের আগেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ওই বিধায়কপুত্র। জোয়েল আরও বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের পরিচয় জানাতে পারেনি নাবালিকা। তবে এক জনের নাম বলেছে। সেই সূত্র-সহ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy