Advertisement
E-Paper

হাসপাতালে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, ধৃত ২

গভীর রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে অসুস্থ রোগীকে বিছানা থেকে টেনে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করল দুষ্কৃতীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের টেবিলে আঁছড়ে ভাঙা হল মদের বোতল! আতঙ্কে থরথরিয়ে কাঁপলেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীরা। গত কাল এমনই কাণ্ড ঘটল করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৬ ০১:৩৪

গভীর রাতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ঢুকে অসুস্থ রোগীকে বিছানা থেকে টেনে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করল দুষ্কৃতীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসকের টেবিলে আঁছড়ে ভাঙা হল মদের বোতল! আতঙ্কে থরথরিয়ে কাঁপলেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগীরা। গত কাল এমনই কাণ্ড ঘটল করিমগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে।

পুলিশ সূত্রে খবর, করিমগঞ্জ শহরের শম্ভুসাগর পার্ক এলাকায় একটি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন রিকশাচালক রবি দাস। ক্ষুব্ধ ভিড় সামলাতে ওই গাড়িতেই আহতকে হাসপাতালে নিয়ে যান চালক। হাসপাতালে রাতের ডিউটিতে ছিলেন চিকিতসক এ কে তপাদার। তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, রাতে এক দল যুবক হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। তারা ওই চিকিৎসকের কাছে জানতে চায়, মত্ত রিকশাচালককে কেন হাসপাতালে ভর্তি করা হল? সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি রিকশাচালককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিতে বলে তারা। চিকিৎসক আপত্তি জানান। অভিযোগ, এর পরই ওই দুষ্কৃতীরা হাসপাতালের তিনতলার সার্জারি ওয়ার্ডের সামনে পৌঁছে যায়। কর্তব্যরত নার্সের সঙ্গে তাদের বচসা শুরু হয়। দুষ্কৃতীরা অভিযোগ করে, ওই রিকশাচালক মদের বোতল নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। নার্সের বাধা না মেনে তাদের সঙ্গে থাকা একটি মদের বোতল বিছানায় শুয়ে থাকা রিকশাচালকের মাথার সামনে রেখে মোবাইলে ছবি তোলে। তারপর তাঁকে টেনেহিঁচড়ে একতলায় নামিয়ে আনে। নৈশ চিকিৎসকের সামনেই রবিবাবুকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। চিকিৎসকের টেবিলে ভাঙা হয় মদের বোতল। অভিযোগ, টুকরো কাচের উপর ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় রিকশাচালককে। তাঁর পা কেটে যায়। চিকিৎসক এ কে তপাদার জানান, উন্মত্ত দুষ্কৃতীদের কোনও ভাবেই বাধা দেওয়া যাচ্ছিল না। অভিযোগ, হাসপাতালে মোতায়েন পুলিশকর্মীরাও কিছু করতে পারেননি। আধঘণ্টা তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। ওই রিকশাচালকের রক্তে ভিজে যায় হাসপাতালের মেঝে। তাঁর পায়ে সঙ্গে সঙ্গে সেলাই করতে হয়।

রাত ১২টা নাগাদ খবর পৌঁছয় করিমগঞ্জ সদর থানায়। তার আগেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আজ সকালে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রদীপরঞ্জন কর ওই থানায় যান। গাড়িচালক-সহ অন্য অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন তিনি। পুলিশ তদন্তে নেমে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে। গ্রেফতার করা হয় গাড়িচালক বিলালউদ্দিন এবং পঞ্চায়েত সদস্য বদরুল হককে। হাসপাতাল পরিচালন সমিতির সভাপতি বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। দেখা করেন পুলিশ সুপারের সঙ্গেও। বিজেপি নেতা মিশনরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবি জানায়।

Miscreants Hospital Patient Attack
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy