Advertisement
০২ মে ২০২৪

Sedition Law: রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের পুনর্বিবেচনা হবে, সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা মোদী সরকারের

সোমবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে বলে, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪-এ ধারার পুনরায় পরীক্ষা এবং পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের।

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা কেন্দ্রের। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ মে ২০২২ ১৫:৪৯
Share: Save:

রাষ্ট্রদ্রোহ আইন নিয়ে পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টে জানাল মোদী সরকার। সোমবার একটি হলফনামায় কেন্দ্র সুপ্রিম কোর্টকে বলে, ‘‘ভারতীয় দণ্ডবিধি ১২৪-এ (বিদ্রোহ) ধারার পুনরায় পরীক্ষা এবং পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র আগে জানিয়েছিল যে, রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বাতিলে তাদের সায় নেই। সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানান, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। মামলার শুনানি-পর্বে বেণুগোপাল সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের কথাও বলেছেন। তাঁর অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে হনুমান চালিশা পাঠের জন্যও অযৌক্তিক ভাবে ১২৪(এ) ধারায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। যদিও কৃষক আন্দোলন-পর্বে হরিয়ানায় বিজেপি নেতা তথা ডেপুটি স্পিকারের গাড়ির কাচ ভাঙার জন্য পুলিশ ১০০ জন কৃষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।

গত বছর রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ‘অপব্যবহার’ -এর দিক উল্লেখ সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছিল, এক সময় যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন বলে মহাত্মা গাঁধী এবং বাল গঙ্গাধর তিলকের মতো নেতাদের নিপীড়ন করা হয়, সেই ‘ঔপনিবেশিক’ আইন কেন এখনও ব্যবহার হবে। সরকারের হাতে এই আইনের অপব্যবহারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন হল কাঠের মিস্ত্রির হাতে করাত তুলে দেওয়ার মতো! কাঠের বদলে বন কেটে আনে সে!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE