Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
Uttar Pradesh

‘‘মা আমাকে ৪ লাখে বিক্রি করে দিয়েছে, বাঁচান’’! থানায় ঢুকে আর্তি তরুণী কন্যার

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী অভিযোগ করেছেন যে, গত ২৩ নভেম্বর বিয়ে দেওয়ার নাম করে হরিয়ানার ওই ব্যক্তির কাছে জোর করে বিক্রি করে দেন তাঁর মা।

Mother allegedly sells daughter to a Haryana man for 4 lakh, police is investigating

প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৮
Share: Save:

কুমাতা! ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কন্যাকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক মায়ের বিরুদ্ধে। পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে নিজের ১৮ বছর বয়সি তরুণী মেয়েকে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, হরিয়ানার এক ব্যক্তির কাছে ৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেয়েকে বিক্রি করে দেন তিনি। এ-ও অভিযোগ করা হয়েছে যে, যাঁর কাছে ওই তরুণীকে বিক্রি করা হয়েছিল, সেই ব্যক্তিও তরুণীর উপর নির্যাতন চালাতেন। মারধর তো চলতই। তরুণীকে দিয়ে বিভিন্ন রকম অবৈধ কাজকর্ম করানো হত বলেও অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত মা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এই প্রসঙ্গে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের এক পুলিশ সুপার মনোজ অবস্থি বলেন, ‘‘এক তরুণী বুধবার পুলিশের কাছে আসেন এবং দাবি করেন যে, তিনি চিলুয়াতাল থানার অন্তর্গত মহেশরা এলাকার বাসিন্দা। ওই তরুণী অভিযোগ করেন, তাঁকে হরিয়ানার এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করা হয়েছিল এবং জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’’

পুলিশ জানিয়েছে, তরুণী অভিযোগ করেছেন যে, গত ২৩ নভেম্বর বিয়ে দেওয়ার নাম করে হরিয়ানার ওই ব্যক্তির কাছে জোর করে বিক্রি করে দেন তাঁর মা। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে মা ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বলেও তরুণীর অভিযোগ।

চিলুয়াতাল থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জয় মিশ্র জানিয়েছেন, মহিলার দুই দিদি আছেন। তাঁরাও হরিয়ানায় বিবাহিত। তরুণীর মা এবং পরিবারের অন্য সদস্যেরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পুরো বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন সঞ্জয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uttar Pradesh Police Haryana Mother Daughter
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE