মাকে কাছছাড়া করবেন না এবং চিরকাল মায়ের সেবা করবেন পণ করে বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ২১ বছর বয়সে। আর মা ৭০ পার করার পরে মাতৃভক্ত ডি কৃষ্ণ কুমার চাকরিও ছেড়ে দিলেন। দেশের সব তীর্থ মাকে ঘোরাতে, বাবার দেওয়া বিশ বছরের পুরনো বাজাজ চেতক স্কুটার সম্বল করে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। ছেলে কৃষ্ণ আর মা চুড়া রত্না প্রায় ৪০ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে হাজির হন অম্বুবাচীর কামাখ্যায়। শুধু কামাখ্যাই নয়, আশপাশের সব মন্দির দেখে মা ও ছেলে নগাঁও জেলায় বৈষ্ণবসন্ত শ্রীমন্ত শঙ্করদেবের জন্মস্থান বটদ্রবাও দেখতে গেলেন।
কর্নাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা কৃষ্ণ ও চুড়াদেবীকে দেখতে কামাখ্যায় ভিড় লেগে গিয়েছিল। কলকাতা, হুগলি, নদিয়া, মালদহ, দুই ২৪ পরগনা থেকে কামাখ্যা দর্শনে আসা প্রৌঢ়া ও বৃদ্ধারা কৃষ্ণকে দেখে নিজের সংসারের অপ্রাপ্তি, সন্তানের কাছে পাওয়া আঘাতের পসরা খুলে বসেন। সকলে আদর করে মাতৃভক্ত কৃষ্ণ কুমারের নাম দিয়েছেন কলিযুগের শ্রবণ কুমার।
কিন্তু কেন স্কুটারে তীর্থ দর্শনের সিদ্ধান্ত?