কর্মীর শেষযাত্রায় শামিল হলেন মুসলিম মালিক।
দীর্ঘদিন তাঁদের হোসিয়ারির দোকানে কাজ করতেন এক হিন্দু কর্মী। সেই কর্মীর শেষযাত্রায় শামিল হলেন মুসলিম মালিক। রামদেবের দেহ কাঁধে করে শ্মশানে নিয়ে গেলেন মহম্মদ রিজওয়ান খান। সম্প্রীতির নজির দেখা গেল পটনায়।
পটনায় হোসিয়ারির দোকান রয়েছে মহম্মদের। সেখানে গত ২৫ বছর ধরে কাজ করতেন রামদেব। তাঁকে পরিবারের সদস্যের মতোই দেখতেন মহম্মদ। গত সপ্তাহে মারা গিয়েছেন রামদেব। বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর শেষকৃত্যে শুধু মহম্মদ নন, আরও অনেক মুসিলম প্রতিবেশী শামিল হন।
রিজওয়ানের কথায়, ‘‘রামদেব আমার বাবার মতোই ছিলেন। যখন আমার দোকানে কাজ খুঁজতে এসেছিলেন, তখন তাঁর বয়স ৫০-এর কাছাকাছি। আমি বলেছিলাম, আপনি ভারী কাজ পারবেন না। রামদেব বলেন, তিনি হিসাবের কাজ দেখতে পারবেন।’’
রিজওয়ান আরও বলেন, ‘‘শেষদিকে বয়সের ভারে আর কাজ করতে পারছিলেন না রামদেব। আমি তাঁকে বিশ্রাম নিতে বলেছিলাম। এও বলেছিলাম, বেতন পাঠিয়ে দেব। সেই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।’’ রামদেব ছিলেন তাঁর অভিভাবকের মতোই, বললেন রিজওয়ান।
গত কয়েক দিনে বেশ কিছু হিংসার ঘটনা সামনে এসেছে। এ সবের সত্যতা মানতে চাননি রিজওয়ান। বললেন, ‘‘টিভিতে যা দেখানো হচ্ছে, তা ঠিক নয়। কোনও বাচ্চা আঘাত পেলে তাঁর ধর্ম জানতে চাই না। আগে ওষুধ দিই। তেমনই হিন্দুরা আমাদের অনুষ্ঠানে আসেন। আমরা ওঁদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy