প্রতীকী ছবি। ছবি সংগৃহীত।
ক্লাসে শিক্ষকের কথা শোনেনি মেয়ে। রাগে পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে প্রথমে কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে আঘাত করেন শিক্ষিকা। তাতেও তাঁর রাগ না কমায় দোতলা থেকে ছুড়ে ফেলে দেন ওই পড়ুয়াকে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই পড়ুয়াকে শুক্রবার প্রথমে দিল্লির হিন্দু রাও হাসপাতালে, পরে সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার ওই পড়ুয়ার বাবা জানান, তাঁর মেয়ে ভাল নেই। তবে সে এখন ‘বিপন্মুক্ত’ বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ওই পড়ুয়ার বাবার কথায়, “আমার মেয়ের চোয়ালের হাড় ভেঙে গিয়েছে। ও জল পর্যন্ত খেতে পারছে না।”
একই সঙ্গে স্বস্তির খবর জানিয়েছেন ওই পড়ুয়ার বাবা। তিনি বলেন, “চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শনিবারই ওকে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু আরও ২ দিন ওকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।” এর পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষিকার কঠোর সাজা দাবি করেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “কী করে একটা বাচ্চার সঙ্গে এমন আচরণ কেউ করতে পারে?”
শুক্রবারের ঘটনার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ওই পড়ুয়ার বাবা জানান, প্রতি দিনের মতোই তিনি কাজে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় তাঁর কাছে খবর আসে যে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। স্কুলে গিয়ে তিনি দেখেন যন্ত্রণায় তাঁর মেয়ে চিৎকার করছে। মেয়েকে দেখে তাঁর স্ত্রী অজ্ঞান হয়ে যান বলেও দাবি করেন ওই ব্যক্তি।
গত শুক্রবার সকালে দিল্লির রানি ঝাঁসি রোডে দিল্লি নগরনিগমের বালিকা বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণির ক্লাস নেওয়ার সময় ওই প়ড়ুয়ার উপরে কোনও কারণে রেগে যান শিক্ষিকা গীতা দেশওয়াল। শাস্তি দিতে তাঁকে প্রথমে কাগজ কাটার কাঁচি দিয়ে মারেন। তার পর দোতলা থেকে সটান ছুড়ে ফেলে দেন। জানা গিয়েছে, গীতা যখন মারধর করছেন তখন তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন অন্য এক শিক্ষিকা, কিন্তু পারেননি। অভিযুক্ত শিক্ষিকা গীতাকে শুক্রবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy