ইডির সমন। ফাইল চিত্র।
রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো কেরলের সীমানা পেরিয়ে কর্নাটক হয়ে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানায় ঢুকবে। তার ঠিক আগে অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলঙ্গানার অন্তত তিন জন কংগ্রেস নেতাকে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল ইডি। আরও বেশ কয়েক জন নেতাকে সমন পাঠানো হতে পারে বলেও সূত্রের খবর।
এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সনিয়া ও রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খড়্গেকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এবার অন্ধ্র, তেলঙ্গানার তিন কংগ্রেস নেতানেত্রী, পি সুদর্শ রেড্ডি, জে গীতা রেড্ডি, মহম্মদ আলি সাব্বিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী সপ্তাহে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে ন্যাশনাল হেরাল্ড ট্রাস্টে টাকা জমা করেছিলেন বলে ইডি-র দাবি। সুদর্শন রেড্ডি দীর্ঘদিনের বিধায়ক। গীতা রেড্ডি তেলঙ্গানা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যকরী সভানেত্রী। সাব্বির তেলঙ্গানা বিধান পরিষদে বিরোধী দলনেতা ছিলেন। তিন জনেই অবশ্য এখনও ইডি-র নোটিস পাননি বলে জানিয়েছেন। তবে সমন এলে তদন্তে সহযোগিতা করবেন বলেও জানিয়েছেন। তাঁদের যুক্তি, ন্যাশনাল হেরাল্ডে তাঁরা টাকা জমা করেছেন চেকে। ফলে আর্থিক অনিয়মেরপ্রশ্ন নেই।
বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দাবি করেছিলেন, ইডি অর্থ মন্ত্রকের অধীনে হলেও তার কাজকর্মে কেন্দ্রীয় সরকার হস্তক্ষেপ করে না। সেই দাবি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন বিরোধী নেতারা। সীতারামনের যুক্তি ছিল, কোনও অপরাধের তদন্তে ইডি সরাসরি পৌঁছয় না। একমাত্র আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে সন্দেহ হলেই ইডি মাঠে নামে। কংগ্রেস সূত্রের অবশ্য অভিযোগ, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ থেকে নজর ঘোরাতেই ইডি, সিবিআইকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি সরকার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy