—ফাইল চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের দিল্লি সফরের মাঝেই এ বার রাজধানী-যাত্রা পঞ্জাব কংগ্রেসের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা নভজ্যোৎ সিংহ সিধুর। মঙ্গলবার দিল্লিতে দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধী এবং সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢ়রার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। আগামী বছরের গোড়ায় পঞ্জাবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অমরেন্দ্র বনাম সিধু-সহ দলীয় নেতাদের সঙ্ঘাতের আবহে তাঁর এই সাক্ষাৎ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
পঞ্জাবে দলীয় কোন্দল সামলাতে আগেই পদক্ষেপ করেছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলের রাজ্যসভা সাংসদ মল্লিকার্জুন খড়্গের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের কমিটিও গঠন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দিল্লি সফরে আসা ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্রর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে ওই কমিটি। মঙ্গলবার সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
ভোটের আগে পঞ্জাবে দলীয় ‘সঙ্কট’ কাটাতে তৎপর হয়েছেন রাহুলও। শুক্রবার নিজের বাসভবনে পঞ্জাব কংগ্রেসের নেতা বিজেন্দ্র সিংহ, রানা গুরজিৎ সিংহ, রাজ্যসভা সাংসদ শামসের সিংহ ঢিলোঁ এবং বিধায়ক লখবীর সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। এর আগে পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সভাপতি সুনীল ঝাখর, অর্থমন্ত্রী মনপ্রীত সিংহ বাদল এবং হরিশ রাওয়তের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন রাহুল। তবে অমরেন্দ্র-বিরোধীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অবশ্য়ই সিধু। ২০১৯ সালের ৬ জুন পঞ্জাব মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর থেকে নতুন মন্ত্রকের দায়িত্বভার না নিয়েই ইস্তফা দিয়েছিলেন সিধু। সে সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে স্থানীয় প্রশাসন এবং পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে সরিয়ে বিদ্যুৎ ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব দেন। নিজের ইস্তফাপত্রে কারণ উল্লেখ না করলেও ঘনিষ্ঠ মহলে সিধুর দাবি ছিল, নতুন মন্ত্রকের দায়িত্বভার তাঁর কাছে পদাবনতির সমান। তার পর থেকে প্রকাশ্যেই একাধিক বার অমরেন্দ্রর বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে সিধুকে। এমনকি, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মিথ্যাবাদী’ বলেছেন সিধু। এই আবহে আসন্ন ভোটের আগে পঞ্জাবে নিজেদের ঘর গোছাতে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে সিধুর বৈঠক গুরুত্ব পাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy