Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
RSS

Mohan Bhagwat: মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মোহন ভাগবত

সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, বিদেশি আক্রমণের জেরে ভারতে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম এসেছে। অন্য দিকে, শরনার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন ইহুদি ও পারসিরা।

দেশে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত।

দেশে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। ফাইল চিত্র

সংবাদ সংস্থা
নাগপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২১ ১৯:১১
Share: Save:

দেশে মুসলিম ও খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত। সেই সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সীমান্তবর্তী রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনে ধর্মের ভিত্তিতে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের পক্ষেও সওয়াল করলেন তিনি।
শুক্রবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে আরএসএস-এর প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়। সেই মঞ্চ থেকে বক্তৃতা করার সময় ২০১৫ সালে আরএসএস অখিল ভারতীয় কার্যকরী মণ্ডল (এবিকেএম)-তে গৃহীত একটি প্রস্তাবের প্রসঙ্গ টানেন ভাগবত। ২০১১ সালের জনগণনার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ওই প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, ‘মূল ভারতীয় ধর্মালম্বীদের জনসংখ্যা ৮৮ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৮৩.৮ শতাংশ। মুসলিমদের জনসংখ্যার হার ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪.২৩ শতাংশ।’ এ দিন ভাগবত বলেন, ‘‘এ দেশের নিজস্ব ধর্মের মানুষদের জনসংখ্যা ৮১.৩ শতাংশ থেকে কমে ৬৭ শতাংশে নেমে এসেছে গত ২০০১ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে। অন্য দিকে, ওই দশকে খ্রিস্টানদের জনসংখ্যা বেড়েছে ১৩ শতাংশ। মণিপুরে মূল ভারতীয় ধর্মের জনসংখ্যা ৮০ শতাংশ থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ৫০ শতাংশে।’’

সঙ্ঘ প্রধানের কথায়, বিদেশি আক্রমণের জেরে ভারতে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম এসেছে। অন্য দিকে, শরণার্থী হিসেবে ভারতে এসেছিলেন ইহুদি ও পার্সিরা। মুসলিমদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘আব্দুল হামিদ কিংবা হাসান খান মেওয়াতির মতো দেশপ্রেমিকদের অনুসরণ করা উচিত তাঁদের।’’

এ ছাড়াও হিন্দু মন্দিরের সম্পত্তি ও তার পরিচালনা নিয়েও মন্তব্য করে ভাগবত বলেন, ‘‘দখল হয়ে যাচ্ছে বহু হিন্দু মন্দির। শুধু তাই নয়, এখন মন্দিরের দায়িত্বও তুলে দেওয়া হচ্ছে বিধর্মীদের হাতে। দক্ষিণ ভারতে হিন্দু মন্দিরের পরিচালনার দায়িত্বে থাকে সরকার। দেশের অন্য অংশেও হয় সরকার নয় ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণে থাকে মন্দির। এটা ঠিক নয়। মন্দির পরিচালনার সমস্ত দায়িত্বই তুলে দেওয়া উচিত হিন্দু ভক্তদের হাতে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

RSS Mohan Bhagwat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE