ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (এনএসজি) কমান্ডোদের নতুন ঘাঁটি তৈরি হবে অযোধ্যায়। মঙ্গলবার এনএসজি বাহিনীর ৪১তম প্রতিষ্ঠা দিবসে এই ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সন্ত্রাসদমনে সিদ্ধহস্ত দেশের এই উৎকৃষ্ট বাহিনী ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ নামেই পরিচিত। ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডো বাহিনীর কাজের ধরনেও কেন্দ্র ‘বড় পরিবর্তন’ আনার পরিকল্পনা করেছে বলে জানান শাহ। যদিও কী পরিবর্তন আসবে, তা এখনই খোলসা করেননি তিনি।
মঙ্গলবার হরিয়ানার মানেসরে এনএসজির সদর দফতর বক্তৃতা করছিলেন শাহ। সেখানেই নতুন এই ঘাঁটি তৈরির ঘোষণা করেন তিনি। বর্তমানে দেশে ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের পাঁচটি ঘাঁটি রয়েছে— কলকাতা, মুম্বই, চেন্নাই, হায়দরাবাদ এবং গান্ধীনগরে। এ বার আরও একটি ঘাঁটি খোলা হবে অযোধ্যায়। সন্ত্রাসদমনে পারদর্শী এই কমান্ডো বাহিনীর ষষ্ঠ ঘাঁটি তৈরির জন্য অযোধ্যাকে বেছে নেওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরি হওয়ার পর থেকে বেশ কয়েক বার হুমকিবার্তা এসেছে।
গত বছরে খলিস্তানপন্থীদের হুমকির মুখে পড়েছিল অযোধ্যার রামমন্দির। একটি ভিডিয়োবার্তায় গত বছরের নভেম্বরে নিষিদ্ধ খলিস্তানপন্থী সংগঠন শিখ ফর জাস্টিস (এসএফজে)-এর নেতা গুরুপতবন্ত সিংহ পন্নুন মন্দিরে হামলার হুমকি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যদিও পরে তেমন কিছু ঘটেনি। তবে ওই হুমকির জেরে রামমন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটসাঁট করতে হয়েছিল। পরে চলতি বছরের এপ্রিলেও বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল রামমন্দিরে। সেই বারও তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। পর পর এই ঘটনাগুলির জেরেই অযোধ্যায় ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের নতুন ঘাঁটি খোলা হচ্ছে বলে মনে করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ এই বাহিনী তৈরি হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সন্ত্রাসদমন অভিযানে অতীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা গিয়েছে ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ কমান্ডোদের। ২৬/১১ মুম্বই হামলার সময়ে তাঁদের মোতায়েন করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীনও জম্মু বিমানবন্দরে ড্রোন-হানা প্রতিহত করতে এনএসজি কমান্ডোদের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। মঙ্গলবার মানেসরে এনএসজি সদর দফতরে বক্তৃতার সময়ে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “পাকিস্তানে জঙ্গিদের মূল ঘাঁটি, তাদের প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং লঞ্চপ্যাড (যেখান থেকে জঙ্গিরা বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে) ধ্বংস করেছে অপারেশন সিঁদুর।”