দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে এ বার গ্রেফতার হলেন জসির বিলাল ওয়ানি ওরফে দানিশ। সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। তাদের দাবি, অনন্তনাগের বাসিন্দা দানিশ দিল্লি বিস্ফোরণের নেপথ্যে অন্যতম যড়যন্ত্রকারী ছিলেন! শুধু তা-ই নয়, তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বিস্ফোরণকাণ্ডের অভিযুক্ত চিকিৎসক উমর-উন-নবির। তাঁর সঙ্গে মিলেই সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন দানিশ!
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, লালকেল্লার সামনে হামলার ঘটনায় প্রযুক্তিগত সহায়তা করেছিলেন দানিশ। পাশাপাশি, তিনি রকেট তৈরির চেষ্টাও করেছিলেন। ড্রোন হামলারও প্রস্তুতি নেওয়া হয়।
দিন তিনেক আগে অনন্তনাগে তল্লাশি চালিয়ে দানিশকে আটক করেছিল এনআইএ। জানা গিয়েছে, অনন্তনাগের কাজিগুন্দের এলাকায় দীর্ঘ দিন বাস করে দানিশের পরিবার। সেখানেই শুকনো ফলের ব্যবসা করেন দানিশের বাবা। পুত্রের আটকের পরে নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মঘাতী হন তিনি।
তদন্তকারীদের এক সূত্রের দাবি, শুধুমাত্র উমেশের সঙ্গে মিলে দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেননি উমেশ, তাঁকেও আত্মঘাতী হামলার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। কাশ্মীরের এক মসজিদে উমরের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল দানিশের। দিনে দিনে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্বের সুযোগে দানিশের মগজধোলাই করেছিলেন উমর!
পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের স্লিপার সেল তৈরির দায়িত্বে ছিলেন উমর। তদন্তকারী সূত্রে খবর, তাঁর ফোন ঘেঁটে এমনই তথ্য মিলেছে। ওই সূত্রের দাবি, মূলত উচ্চশিক্ষিত এবং যাঁদের অপরাধের কোনও রেকর্ড নেই, কেউ সন্দেহ করবেন না— এ রকম তরুণ-তরুণীদের খোঁজ চালিয়ে তাঁদের সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করতেন। তার পর সেই তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে সমাজমাধ্যমে বন্ধুত্ব পাতাতেন উমর। তদন্তকারীদের অনুমান, সে ভাবেই দানিশকে দলে টেনেছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন:
দিল্লি বিস্ফোরণের সূত্র ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে। দিল্লি পুলিশ, জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, হরিয়ানা পুলিশ, উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এবং অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করছে এনআইএ। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, দিল্লি বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে শুধু উমর আর দানিশই নন, জড়িয়ে আরও অনেকে। সেই চক্রকে ধরাই এখন এনআইএ-র কাছে অগ্রাধিকার। পাশাপাশি, কোথা টাকা এসেছিল, তা-ও খুঁজে বার করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।