Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
NIA

লস্করের সদস্য নিয়োগের অভিযোগ, এনআইএ-র জালে সৌদি ফেরত চিকিৎসক

২০১০ সালে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল সাবিল। সেখানে কিং ফাহাদ হাসপাতালে কাজ করত সে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

সংবাদ সংস্থা
বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২০ ১১:২২
Share: Save:

এ দেশে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন লস্কর ই তৈবার হয়ে সদস্য নিয়োগ করার অভিযোগে সৌদি আরব ফেরত এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সাবিল আহমেদ নামে ওই চিকিৎসকের দাদা কাফিল আহমেদেরও জঙ্গি যোগ ছিল। ২০০৭ সালে গ্লাসগো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় জড়িত ছিল কাফিল। বিস্ফোরণে তার মৃত্যুও হয়। রবিবার দিল্লি বিমানবন্দরে নামা মাত্রই সাবিল আহমেদকে গ্রেফতার করে এনআইএ।

২০১০ সালে সৌদি আরবে পাড়ি দিয়েছিল সাবিল। সেখানে কিং ফাহাদ হাসপাতালে কাজ করত সে। সাবিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে গোপনে লস্করের হয়ে সদস্য নিয়োগ করত। ২০১২ সালে সাবিল-সহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। সাবিলের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। জারি করা হয় লুক আউট নোটিসও। বেঙ্গালুরু পুলিশের দাবি, বিজেপির বর্তমান সাংসদ প্রতাপ সিমহাকে খুনের ছক কষেছিল সাবিল আর তার দলবল।

এই অভিযোগের জেরে সাবিলকে আটক করে সৌদি আরবের পুলিশ। তাকে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়। নয়াদিল্লিতে নামতেই তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। ২০০৭ সালে স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলার ছক কষেছিল সাবিলের ভাই কাফিল। সে পেশায় এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়র ছিল। কিন্তু তার ছক ভেস্তে যায়। বোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় কাফিলের। জানা গিয়েছে, সে সময় লন্ডনেই ছিল কাফিলেরই ছোট ভাই সাবিল। লস্করের সদস্য নিয়োগের অভিযোগে যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরু পুলিশ মামলা দায়ের করেছে, তাদের মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনকে গ্রেফতার করা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ১৪ জন শাস্তিও ভোগ করে ফেলেছে। ৮ বছর আগের সেই মামলাতেই এ বার জালে পড়ল সাবিল।

আরও পড়ুন: লক্ষ্য বাংলার ভোট? মোদী-মুখে রবির শরণ

চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়েই জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগে বেঙ্গালুরুর এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছিল এনআইএ। বেঙ্গালুরুর এমএস রামাইয়া কলেজের চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রভিন্স (আইএসকেপি)-র সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ রয়েছে।

আরও পড়ুন: কোভিড পরবর্তী চিকিৎসায় সুস্থ, দু’সপ্তাহ পর এমস থেকে ছাড়া পেলেন অমিত শাহ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE