তাঁর দিদি নিকি ভাটির উপর দীর্ঘ দিন ধরেই অত্যাচার হচ্ছিল। বেশ কয়েক বার পঞ্চায়েত ডেকেও সেই সমস্যার সমাধান করা হয়। কিন্তু প্রতি বারই নিকির স্বামী বিপিন ক্ষমা চেয়ে ‘আর হবে না’ প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেও নিকিকে নানা ভাবে হেনস্থা করতেন। এমনই দাবি করলেন নিকির তুতো ভাই ভিকি পায়লা।
তাঁর দাবি, কন্যার উপর অত্যাচার হচ্ছে জেনেও পরিবার চুপ করে ছিল। কারণ, তারা চাইত না, বিষয়টি নিয়ে খুব একটা জানাজানি হোক, আলোচনা চলুক। ভিকির দাবি, ‘লোকলজ্জা’র ভয়েই বিষয়টিকে গোপন করা হয়েছিল। তাঁর আরও দাবি, অশান্তির জন্য নিকি বেশ কয়েক বার বাপের বাড়িতে চলে আসেন। কিন্তু প্রতি বারই তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসে নিকিকে নিয়ে যেতেন। সঙ্গে প্রতিশ্রুতিও দিতেন, এই ধরনের ঘটনা আর হবে না। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতি বদলায়নি।
আরও পড়ুন:
ভিকি আরও জানিয়েছেন, নিকির মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগেও স্বামী বিপিনের সঙ্গে অশান্তি হয়েছিল। প্রতি বারের মতো এ বারও বাড়ির বয়স্কদের কাছে বিপিন ক্ষমা চেয়ে নেন। এ বার পরিস্থিতি ঠিক হয়ে যাবে, এই আশায় আশায় বিষয়টি নিয়ে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়। কিন্তু পরিস্থিতি বদলানোর ছিল না। বরং নিকির উপর দিন দিন অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল বলে দাবি ভিকির। নিকি স্বনির্ভর হতে চেয়েছিলেন। বিউটিশিয়ান কোর্সও করেন। নামী স্কুল থেকে পড়াশোনার পর একটি বিউটি পার্লারও খোলেন। নিকির আর এক ভাই রোহিত গুর্জর জানিয়েছেন, আট লক্ষ টাকা দিয়ে নিকিকে একটি পার্লার খুলে দিয়েছিল তাঁর পরিবার।
বিপিন এবং তাঁর দাদা রোহিত দু’জনেই বেকার। নিকি এবং তাঁর দিদি কাঞ্চন এই বিউটি পার্লার চালিয়ে সন্তানদের পড়াশোনার খরচ জোগাতেন বলে দাবি নিকির ভাইয়ের। সেটা নিকির শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মেনে নিতে পারছিলেন না। পার্লার খোলার পর থেকে অশান্তি আরও বেড়ে গিয়েছিল। এ বছরের ফেব্রুয়ারিুতে সেই পার্লার ভেঙেও দেন শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।