Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Nikki Yadav Murder Case

তিন বছর আগে নিক্কিকে বিয়ে, খুনে জড়িত সাহিলের পরিবারও! বাবা, দুই বন্ধু, দুই আত্মীয়কেও গ্রেফতার

নিক্কিকে খুন করার পর সাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দরকে জানিয়েছিলেন সে কথা। জানার পরেও সে দিনই পুত্রের বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলেন বীরেন্দর।

Nikki Yadav and Sahil Gehlot

জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানা গিয়েছে যে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১১:১০
Share: Save:

রাজধানীতে নিক্কি যাদবের খুনের তদন্ত শুরু হওয়ার পর প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা অনবরত কাহিনিকে নতুন মোড় দিচ্ছে। নিক্কি এবং সাহিল নাকি বছর তিনেক আগেই সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন। প্রমাণস্বরূপ তাঁদের বিয়ের সার্টিফিকেট পুলিশের হাতে আসায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির ধাবার মালিক সাহিল গহলৌতকে নতুন করে জেরা শুরু করছে দিল্লি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন জানা গিয়েছে যে, ২০২০ সালে মন্দিরে গিয়ে নিক্কিকে বিয়ে করেছিলেন সাহিল। বিয়ের কথা সাহিল তাঁর বাবা বীরেন্দর সিংহকেও জানিয়েছিলেন। তবুও জোর করে অন্য মহিলার সঙ্গে বিয়ে ঠিক করেছিলেন বীরেন্দর।

এমনকি, নিক্কিকে খুন করার কথাও সাহিল জানিয়েছিলেন বীরেন্দরকে। ঘটনা জানার পরেও সে দিন বিয়ের অনুষ্ঠান সেরে ফেলার জন্য পুত্রকে জোর করেছিলেন বীরেন্দর। তাই দিল্লি পুলিশের তরফে বীরেন্দরকে গ্রেফতার করা হয়। বীরেন্দরের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনকেও। শুক্রবার আদালতে ওই ৫ জনকে পেশ করা হলে তাঁদের ৩ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যে মন্দিরে নিক্কি এবং সাহিল বিয়ে করেছিলেন, সেই মন্দিরের পুরোহিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নবীন নামে দিল্লির এক পুলিশ আধিকারিকের যোগসূত্র রয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, নবীন সম্পর্কে সাহিলের মাসির পুত্র। এমনকি, খুনের অপরাধে সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন নবীন বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোনের নামও প্রকাশ্যে এসেছে। পুলিশের অনুমান, সাহিলের বাবার পাশাপাশি ওই চার জন মিলে নিক্কিকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। তাই চার জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এএনআই সূত্রে খবর, বাগ্‌দান পর্ব সেরে ওই রাতেই সাহিল গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। সাহিলের দুই বন্ধু এবং দুই তুতো ভাইবোন বার বার ফোন করছিলেন সাহিলকে। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁরা আন্দাজ করে নেন যে, সাহিল তাঁর প্রেমিকা নিক্কির সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছেন। সাহিলকে খুঁজতে গ্রামের বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন চার জন।

কিন্তু মাঝপথে সাহিল তাঁদের ফোন ধরে জানান যে, তিনি পশ্চিম বিহারের কাছে রয়েছেন। সঙ্গে সঙ্গে সাহিলের বলা জায়গায় গিয়ে হাজির হন চার জন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়ে তাঁরা দেখেন, সাহিলের গাড়ির ভিতর নিক্কির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, নিক্কির দেহ সরাতে সাহিলকে সাহায্য করেছিলেন তাঁর দুই তুতো ভাইবোন এবং দুই বন্ধু। দেহ সরানোর পর আবার তাঁরা সাহিলকে নিয়ে বাড়ি ফেরেন।

সাহিলের ফোনের কল রেকর্ডও খতিয়ে দেখেছে পুলিশ। তবে, সাহিলের বক্তব্য, নিক্কির ব্যাপারে সব জানার পরেও পরিবারের পছন্দ করা মহিলার সঙ্গে সাহিলকে বিয়ে করতে জোর করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। কিন্তু পুলিশের সন্দেহ, রাগের মাথায় নয়, বরং সাহিলের পরিবারের কয়েক জন সদস্য পরিকল্পনা করে খুন করেন নিক্কিকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Delhi Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE