Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Nirbhaya

‘আমাদের অধিকার কে দেখবে?’ আদালতেই কেঁদে ফেললেন নির্ভয়ার মা

বুধবারই নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অক্ষয়কুমার সিংহের ফাঁসি রদের আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।

শুনানি চলাকালীনই ভেঙে পড়েন আশাদেবী। —ফাইল চিত্র।

শুনানি চলাকালীনই ভেঙে পড়েন আশাদেবী। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:৩৪
Share: Save:

ধর্ষকদের আক্রমণে মেয়েকে হারিয়েছেন আগেই। তার পর সাত-সাতটা বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু আজও আইন-আদালতের দরজায় ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে। একটা ধাপ এগোচ্ছেন, তো পর মুহূর্তেই পিছিয়ে আসতে হচ্ছে অনেকটা। এই সঙ্কটে আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলেন না তিনি। দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্টে তাঁদের আর্জির শুনানি চলাকালীনই বিচারপতির সামনে ভেঙে পড়লেন ‘ইন্ডিয়াজ ডটার’ নির্ভয়ার মা আশাদেবী। আইনি মারপ্যাঁচের মধ্যে তাঁদের কথা কি আদৌ কেউ ভাবছেন? কাঁদতে কাঁদতেই বিচারকের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন তিনি।

বুধবারই নির্ভয়া কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অক্ষয়কুমার সিংহের ফাঁসি রদের আর্জি খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আবার এই দিনই আশাদেবী ও তাঁর পরিবারের আর্জির শুনানি ছিল পাতিয়ালা হাউস কোর্টে। ফাঁসি কার্যকর করার নির্দেশ এগিয়ে আনতে সেখানে আবেদন জানিয়েছিলেন তাঁরা। সুপ্রিম কোর্ট থেকে বেরিয়ে তাই সটান সেখানে রওনা দেন আশাদেবী ও তাঁর স্বামী বদ্রীনাথ সিংহ। ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেয় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার জনও।

কিন্তু সেখানে নির্ভয়ার পরিবারের আবেদনের শুনানি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক সতীশ অরোরা। ওই সময়ের মধ্যে অপরাধীদের নতুন করে নোটিস ধরাতে হবে বলেও তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি, যাতে জানা যায়, অপরাধীরা ক্ষমাভিক্ষার আর্জি জানাবে কি না। এতেই ভেঙে পড়েন আশাদেবী। কাঁদতে কাঁদতে বিচারককে প্রশ্ন করেন, ‘‘যেখানেই যাচ্ছি অপরাধীদের অধিকারের কথা শোনানো হচ্ছে আমাদের। আমাদের অধিকারের কী হবে? ’’

আশাদেবীকে সান্ত্বনা দিয়ে বিচারক বলেন, ‘‘আপনার প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি রয়েছে। প্রিয়জনকে হারিয়েছেন জানি। কিন্তু আইন মেনে ওদের অধিকারের দিকটাও দেখতে হবে। আপনার আর্জি শুনছি, কিন্তু আইনের কাছে আমাদের হাত বাঁধা।’’ কিন্তু এতেও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি আশাদেবী। আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের সামনেই ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেন তিনি।

এর আগে, দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছিলেন আশাদেবী। ধীর গতিতে হলেও, সাজা কার্যকর হওয়ার পথে কিছুটা হলেও এগোতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। কিন্তু পাতিয়ালা হাউস কোর্টে এসে নিরাশ হতে হয় তাঁকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE