ঘটনার সময় সে ওই বাসেই ছিল না। পুলিশ তার উপরে নির্যাতন চালিয়ে তাকে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করেছে।
নির্ভয়া গণধর্ষণ কাণ্ডের অন্যতম অপরাধী মুকেশ সিংহ ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পেতে এমনই দাবি করল সুপ্রিম কোর্টে।
গত ৫ মে সুপ্রিম কোর্ট নির্ভয়া কাণ্ডের চার অভিযুক্ত— মুকেশ, অক্ষয় কুমার, পবন গুপ্ত ও বিনয় শর্মাকে ফাঁসার সাজা শুনিয়েছিল। বহাল রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্টের রায়। ফাঁসির সাজা থেকে রেহাই পেতে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে ‘রিভিউ পিটিশন’ জমা করেছে মুকেশ। বাকি তিন জনও পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চলেছে। সবগুলি আর্জি একসঙ্গে ১২ ডিসেম্বর শুনানি হবে বলে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফিনিক্স-জীবনের গল্পই এখন ওঁদের মূলধন
গত মে মাসে বিচারপতি দীপক মিশ্রের বেঞ্চ চার জনকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল। তিনি এখন প্রধান বিচারপতি। নিয়ম মাফিক প্রধান বিচারপতি মিশ্র, বিচারপতি আর ভানুমতী ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চেই আজ শুনানি হয়। মুকেশের তরফে আইনজীবী এম এল শর্মা দাবি করেন, পুরো ঘটনাই ঘটেছিল একটি বাসের মধ্যে। মুকেশ ওই বাসেই ছিল না। বাস থামিয়ে মুকেশ বাসে উঠেছিল, এমন প্রমাণও মেলেনি। নির্যাতিতা তাঁর মৃত্যুর আগে দেওয়া জবানবন্দিতেও এমন কিছু বলেনি। পুরোটাই পুলিশ অত্যাচার চালিয়ে তাকে দিয়ে বলিয়েছে। পুলিশের দাবি, মুকেশই বাস চালাচ্ছিল। কিন্তু মুকেশের কাছে দু’চাকার গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল বলে তার আইনজীবীর দাবি।
শুনানির মধ্যেই প্রধান বিচারপতি মিশ্র বলেন, পুনর্বিবেচনার আর্জির শুনানি খুব বেশি হলে আধ ঘণ্টা চলতে পারে। আর এক আইনজীবী এ পি সিংহ বলেন, বাকি তিন অভিযুক্তর হয়ে তিনি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাচ্ছেন। তার জন্য তিহাড় জেল থেকে নথি সংগ্রহের কাজ চলছে। প্রধান বিচারপতি বলেন, সে ক্ষেত্রে সবগুলিরই শুনানি একসঙ্গে ১২ ডিসেম্বর হবে। শুনানিতে হাজির ছিলেন নির্ভয়ার বাবা-মা বদ্রীনাথ সিংহ ও আশা দেবীও। তাঁদের প্রশ্ন, ছয় মাস হয়ে গিয়েছে। অপরাধীদের আইনজীবীরা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে এত দেরি করছেন কেন! তাঁরা চান, যত শীঘ্র দোষীদের শাস্তি হোক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy