আগামী সোমবার কাছাড় জেলা পরিষদের সভা হচ্ছে না। সভাপতি সাথী কর্মকারের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে গৌহাটি হাইকোর্ট। ৮ সপ্তাহের মধ্যে তা নিয়ে শুনানি গ্রহণ করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। তার আগে এই সংক্রান্ত কোনও সভা না করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অরূপকুমার গোস্বামী।
কাছাড় জেলা পরিষদ সভাপতি সাথী কর্মকারের বিরুদ্ধে অনেক দিন থেকে ক্ষোভ-বিক্ষোভ চলছে। বিজেপি, এআইইউডিএফ বা নির্দলদের চেয়ে তাঁকে নিয়ে বেশি আপত্তি একাংশ স্বদলীয় সদস্যেরই। তাঁরাই বিরোধীদের নিয়ে জোট বেঁধে কংগ্রেস নেত্রী সাথী কর্মকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে। ১৯ জুলাই সেই সভার দিন ধার্য করা হয়েছিল। কিন্তু ২৭ সদস্যের পরিষদে অনাস্থা প্রমাণে অন্তত ১৮ জন সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন। বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত সদস্য ত্রয়োবাসী দাসকে সঙ্গে পাবে ধরে বিক্ষুব্ধরা এগোলেও ১৯ জুলাই তিনি আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগদান করেন।
এ দিকে, তাঁর অপেক্ষা করে করে ১৭ সদস্য সভাকক্ষে ঢোকেন প্রায় দেড়ঘণ্টা পরে। অথচ অসম পঞ্চায়েত আইনে উল্লেখ রয়েছে, অনাস্থার সভা নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টার মধ্যে শুরু করতে হবে। সাথী-ঘনিষ্ঠদের দাবিতে সে-দিনের মতো সভা বাতিল করতে হয়। সেখানেই ৭ নভেম্বর পরবর্তী সভার দিন স্থির করা হয়েছিল। সাথী-বিরোধী উপসভাপতি সালেহা বেগম লস্কর ওই সভায় উপস্থিত থাকতে সকলকে চিঠিও পাঠান। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গিয়েছিলেন সাথীদেবী। এ ক্ষেত্রেও অসম পঞ্চায়েত আইনের ৭৩ নম্বর ধারাকে উদ্ধৃত করা হয়। তাঁর আইনজীবী ডি মজুমদার আদালতকে জানান, এই ধারায় এক বার অনাস্থা আনার ছ’মাসের মধ্যে আর অনাস্থা আনা যায় না। এর পরই বিচারপতি অরূপকুমার গোস্বামী ৭ তারিখের সভা না করতে নির্দেশ দেন।
সাথীদেবী আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘‘অনাস্থা সভা বাতিল মানেই অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে আমিই সভাপতি। আর আমি সভাপতি থাকা অবস্থায় উপ-সভাপতির পরিষদের সভা ডাকার কোনও অধিকার নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy