এখনও বিক্ষোভ চলছে শাহিন বাগে। —ফাইল চিত্র।
অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করা যায় না। গত দু’মাস ধরে দিল্লির শাহিন বাগে যে বিক্ষোভ চলছে, তা নিয়ে এ বার এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সেই মর্মে কেন্দ্রীয় সরকার এবং দিল্লি পুলিশকে নোটিসও ধরাল শীর্ষ আদালত। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।
শাহিন বাগে বিক্ষোভের জেরে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে বলে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন আইনজীবী অমিত সাহনি। গত ১৪ জানুয়ারি তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের কোর্টে বল ঠেলে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। বলা হয়, আইন-শৃঙ্খলার কথায় মাথায় রেখে পুলিশকেই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
এর পর হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অমিত সাহনি। সোমবার তার শুনানিতেই শীর্ষ আদালত বলে, ‘‘দীর্ঘ সময় ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। জনগণ ব্যবহার করেন এমন কোনও জায়গায়, এ ভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভ দেখানো যায় না। প্রতিবাদ করতে চাইলে নির্ধারিত জায়গাতেই তা করতে কবে। এ ভাবে জনগণের ব্যবহারের রাস্তা আটকে রাখা যায় না।’’
আরও পড়ুন: মৃত বেড়ে ৯০০, চিনে এ বার নিখোঁজ করোনার খবর করা সাংবাদিক
তবে শাহিন বাগের প্রতিবাদীদের কথা না শুনে এ নিয়ে চূড়ান্ত রায় শোনাতে রাজি হয়নি সুপ্রিম কোর্ট। তাই আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানি হবে বলে ঠিক হয়েছে। এ ব্যাপারে আদালতের যুক্তি, ‘‘৫৮ দিন যখন অপেক্ষা করা গিয়েছে, তখন আরও এক সপ্তাহ অপেক্ষা করাই যায়।’’
গত শুক্রবারই এ নিয়ে আদালতে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের আগে এ নিয়ে শুনানি করলে, নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে বলে সেইসময় শুনানি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন: সিএএ-র বিরুদ্ধে সরব উর্দু কবির মেয়েকে পাকিস্তান যাওয়ার ‘পরামর্শ’ বিজেপি নেতার
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ), জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) এবং জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর)-এর বিরোধিতায় গত দু’মাস ধরে শাহিন বাগের রাস্তায় প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। মূলত মহিলাদের হাত ধরে বিক্ষোভ শুরু হলেও সমাজকর্মী, শিল্পী, তারকা-সহ সমাজের সব ক্ষেত্রের মানুষই ভিড় জমিয়েছেন সেখানে। তাঁদের অভিযোগ সংখ্যালঘুদের কোণঠাসা করতেই ধর্মের নিরিখে নাগরিকত্ব যাচাইয়ে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy