Advertisement
E-Paper

মোদীর চিন সফর নিয়ে কথা হল ডোভাল-ওয়াং বৈঠকে, সম্পর্কের উন্নতি হচ্ছে, মানছে দু’পক্ষই

ডোভাল বৈঠকে ওয়াংকে জানিয়েছেন, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিয়ানজিনে রয়েছে সেই বৈঠক।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৫ ২০:২৬
(বাঁ দিকে) অজিত ডোভাল। ওয়াং ই (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) অজিত ডোভাল। ওয়াং ই (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।

ভারত-চিন সীমান্তে এখন ‘শান্তি’ রয়েছে। দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেরও উন্নতি হচ্ছে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লির বৈঠকে এ কথা মেনে নিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ডোভাল বৈঠকে ওয়াংকে জানিয়েছেন, সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর বৈঠকে যোগ দিতে চিনে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩১ অগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিয়ানজিনে রয়েছে সেই বৈঠক। মোদীর চিন সফরকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াং।

সীমান্ত নিয়ে কথা বলার দায়িত্ব রয়েছে ডোভাল এবং ওয়াংয়ের। ২০২০ সালের জুনে গালওয়ানে ভারত এবং চিন বাহিনীর সংঘাতের পরে গত ডিসেম্বরে প্রথম চিনে গিয়েছিলেন ডোভাল। তখন সীমান্তে শান্তি স্থাপন নিয়ে দু’জনের আলোচনা হয়েছিল বলে খবর। মঙ্গলবার বৈঠকের শুরুতে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে মোদীকেই মূলত দিয়েছেন ডোভাল। তিনি জানান, গত বছর মোদী এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বৈঠক দু’দেশের মধ্যে নতুন ‘প্রবণতা’ তৈরি করেছে। ডোভালের কথায়, ‘‘তার ফলে আমরা অনেক লাভবান হয়েছি।’’ ডোভালের কথায়, ‘‘এখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ঊর্ধ্বগামী। সীমান্তে শান্তি রয়েছে। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা আমাদের নেতাদের কাছে কৃতজ্ঞ, যাঁরা গত অক্টোবরে কাজ়ানে সাক্ষাৎ করে নতুন হাওয়া তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন। এর ফলে আদতে আমরা লাভবান হয়েছি। নতুন যে পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা আমাদের অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছে।’’

প্রসঙ্গত, চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং-ও জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে যে পরিস্থিতি হয়েছে, তাতে চিনের স্বার্থ ‘আহত’ হয়েছে। সীমান্তে যে শান্তিস্থাপন হয়েছে, তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ওয়াং। তিনি বলেন, ‘‘কাজ়ানে মোদী এবং জিনপিং সাক্ষাৎ করেছেন। আমরা খুশি যে, সীমান্তে এখন শান্তি রয়েছে। এসসিওর বৈঠকের জন্য মোদীর চিন সফরকে স্বাগত জানাই। ইতিহাস এবং বাস্তব দুই-ই প্রমাণ করেছে যে, ভারত-চিনের সুসম্পর্ক দু’দেশের স্বার্থকেই সুরক্ষিত করবে।’’

সোমবার ওয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি জানান, ভারত এবং চিনের বিভেদ কখনওই যেন সংঘাতে পরিণত না হয়।

দু’দেশ যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করছে, তখনই চিনে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সব ঠিকঠাক চললে জিনপিংয়ের সঙ্গে আলাদা দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও বসতে পারেন তিনি। আমেরিকার সঙ্গে শুল্ক নিয়ে টানাপড়েন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের চাপের মাঝে মোদী-জিনপিংয়ের এই বৈঠক ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করা হচ্ছে।

PM Narendra Modi
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy